নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের স্ত্রী এবং গ্রুপটির পরিচালক নাসরিন ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার নামে থাকা ঢাকার অভিজাত মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও ৫৫টি কোম্পানির বিপুল পরিমাণ শেয়ার ফ্রিজ বা জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার, ১৮ জুন — ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুদকের আবেদনের শুনানি শেষে আদালত বলেন, এই সম্পদগুলো এখনই জব্দ না করলে রাষ্ট্রের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দুদক জানায়, মহাখালী ডিওএইচএসে অবস্থিত যে দুটি ফ্ল্যাট ক্রোক করা হয়েছে, সেগুলোর মোট মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।
দুদকের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ এই তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
এই মামলায় দুদকের পক্ষে আদালতে আবেদন করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম। তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেন, নাসরিন ইসলাম ঘুস এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ২০ কোটি ২৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
তদন্তে দেখা গেছে, এসব সম্পদ তার বৈধ আয়ের সঙ্গে মেলেনা। এমনকি তিনি নাকি এগুলো গোপনে বিক্রি বা অন্য কারও নামে হস্তান্তরের চেষ্টাও করছিলেন। ফলে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে দ্রুত এসব সম্পদ জব্দ করা জরুরি হয়ে পড়ে।
দুদকের মতে, এসব সম্পদ যদি বিক্রি হয়ে যায়, তাহলে তা ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। তাই আদালতের এই সিদ্ধান্তকে কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছে।
এই মামলার তদন্ত এখনও চলছে। তবে এরই মধ্যে নাসরিন ইসলামের বিরুদ্ধে যে সম্পদের হিসাব ও ব্যবস্থাপনার প্রশ্ন উঠেছে, তা গোটা দেশের ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।