তুরস্কে তিনটি প্রধান শহরের মেয়রদের গ্রেপ্তার করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার (৫ জুলাই) ভোরে চালানো পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এটি বিরোধী দমন অভিযানের সাম্প্রতিক সংযোজন। এর আগে মার্চ মাসে ইস্তানবুলের মেয়রকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির বরাতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া তিন মেয়রই প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)-র সদস্য।
আদিয়ামানের মেয়র আবদুর রহমান তুতদেরে এবং আদানা পৌরসভার প্রধান জেইদান কারালারকে শনিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। তুতদেরেকে রাজধানী আঙ্কারা থেকে এবং কারালারকে ইস্তানবুল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তুতদেরে এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে জানান, তাকে ইস্তানবুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিকে, আন্টালিয়ার মেয়র মুহিতিন বোসেককেও ঘুষ সংক্রান্ত পৃথক এক মামলায় আটক করা হয়েছে। আন্টালিয়ার প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে পরিচালিত এই অভিযানে আরও দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, ইস্তানবুলের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় পরিচালিত অভিযানে তুতদেরে ও কারালারসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দরপত্র জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। তবে এসব অভিযোগের বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সিএইচপি নিয়ন্ত্রিত বেশ কয়েকটি পৌরসভার কর্মকর্তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, এই গ্রেপ্তার অভিযান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের বিরোধী দল দমনের অংশ। এরদোয়ানের ২২ বছরের শাসনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু। দুর্নীতির অভিযোগে চার মাস আগে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছর সিএইচপির নেতাদের বিরুদ্ধে যেসব গ্রেপ্তার অভিযান চলছে, তা দলের কার্যক্রম দুর্বল করার একটি কৌশল। তবে সরকার দাবি করছে, প্রসিকিউটর ও বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তাই এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের বিক্ষোভকে তারা আইনবিরুদ্ধ বলে অভিহিত করছে।