Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Thu, Jul 17, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • মতামত
    • সাহিত্য
    • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » একজন ড্রাফটম্যানের শতকোটি টাকার মালিক হয়ে ওঠার অনুসন্ধান
    অপরাধ

    একজন ড্রাফটম্যানের শতকোটি টাকার মালিক হয়ে ওঠার অনুসন্ধান

    নাহিদJune 18, 2025Updated:June 18, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    ফেনী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ড্রাফটম্যান শাহিন আলম। বয়স ৩২। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ২১,৪৭০ টাকা বেতন স্কেলে চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু মাত্র ছয় বছরেই তিনি হয়ে উঠেছেন শতকোটি টাকার মালিক।

    তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ চমকে দেওয়ার মতো। এ সময়ে অন্তত ছয় দফায় ছয় জেলায় বদলি হয়েছেন। অভিযোগ, বেনামে ঠিকাদারি লাইসেন্স করে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

    প্রান্তিক পরিবার থেকে উত্থান

    কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শুভপুর ইউনিয়নের তেলিহাটি গ্রামের বাসিন্দা শাহিন আলম। তাঁর বাবা জয়নাল আবেদীন বাজারে বাদাম বিক্রি করতেন। ফসলি জমিও ছিল না। ডিপ্লোমা প্রকৌশল শেষ করে ২০১৮ সালে তৎকালীন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হকের সুপারিশে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ড্রাফটম্যান পদে চাকরি পান শাহিন।

    চাকরির প্রথম পোস্টিং ছিল কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায়। দু-এক বছরের মাথায় ৬ শতক জমিতে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা খরচে বানান একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে নানা অনিয়মের অভিযোগ। ২০১৯ সালের মার্চে তাঁকে বরুড়া থেকে লাকসামে বদলি করা হয়।

    অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তৃতি

    লাকসামে বদলির পর শাহিনের দুর্নীতির মাত্রা আরো বেড়ে যায়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রীর আত্মীয় মোহব্বত আলীর সঙ্গে গড়ে তোলেন ‘সিন্ডিকেট’। তাঁদের ছত্রচ্ছায়ায় কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ ভাগিয়ে নেন।

    জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৩৬২টি গভীর নলকূপ স্থাপনে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন শাহিন। আবার ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৮টি নলকূপ না বসিয়েই তুলে নেন ৪০ লাখ টাকা।

    এর জেরে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর তাঁকে পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ে বদলি করা হয়।

    নিজের নামে, আত্মীয়দের নামে গড়ে তোলা সম্পদের পাহাড়

    প্রতিবেদকের হাতে থাকা দলিল অনুযায়ী, শাহিন শুভপুরে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে একাধিক জমি কেনেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ টাকা। এরপর ২০২৩ সালে চান্দিনা উপজেলার থানগাঁও ও বেলাশর মৌজায় আরও জমি কেনেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

    স্থানীয় কাদৈর বাজারে কেনা জমির মূল্য প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। জেলা শহরের বাগিচাগাঁওয়ে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট, ঢাকার খিলগাঁওয়েও রয়েছে কোটি টাকার ফ্ল্যাট।

    বিলাসবহুল পরিবহন ও বিদেশে ব্যবসা

    ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ইফাদ মোটরস থেকে ৫টি বিলাসবহুল স্লিপার কোচ কেনেন শাহিন, প্রতিটির মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। গাড়িগুলো বর্তমানে ঢাকার আরামবাগ থেকে কক্সবাজার রুটে চলাচল করছে। মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয় সূত্র জানায়, গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন হয় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর।

    এ ছাড়া সোহেল রানার নামে আরো তিনটি কোচ, পণ্য পরিবহনে ১১টি ডাম্প ট্রাক, ১৫ কোটি টাকার ১১টি এক্সকাভেটর এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারে ৪৫ লাখ টাকার একটি টয়োটা প্রিমিও গাড়ি রয়েছে তাঁর।

    বিভিন্ন ব্যাংকে শাহিনের নামে ও বেনামে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার এফডিআর। অভিযোগ রয়েছে, দুবাইয়েও রয়েছে তাঁর ব্যবসা।

    রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক উদাসীনতা

    চৌদ্দগ্রাম জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালে মুজিবুল হকের প্রভাবে ১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার ড্রেন নির্মাণ কাজ ভাগিয়ে নেন শাহিন। কাজের মান খারাপ হওয়ায় বাধা দেওয়া হলে তিনি বিল উত্তোলন করে কাজ না করেই পালিয়ে যান।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, লাকসামে নানা অনিয়মের পেছনে পলাতক নেতা মোহব্বত আলীর ভূমিকা ছিল। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হয় প্রতিবেদনকারী। জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

    একাধিক অভিযোগ, তদন্তের মুখে শাহিন

    ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের কাছে শাহিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন আরমান মিয়া নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগে তুলে ধরা হয় তাঁর সব অবৈধ সম্পদের বিবরণ।

    পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে শাহিনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে।

    ফেনী জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল হক বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ফেনীতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে, তদন্ত চলমান রয়েছে।

    ঘুষ প্রস্তাব ও সাংবাদিককে হুমকি

    গত রোববার বিকেলে শাহিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। প্রতিবেদকের পরিচয় দেওয়ার পর তিনি ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তা প্রত্যাখ্যান করলে উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আপনার মন যা চায় তা আমার বিরুদ্ধে লিখে দেন।” সুত্র: আজকের পত্রিকা

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অপরাধ

    বাবার ছায়ায় পাপ্পার অপরাধ সাম্রাজ্য

    July 17, 2025
    অপরাধ

    ৬৫ হাজার টাকার চাকরিতে ওসির ৫ কোটি টাকার সম্পদ

    July 16, 2025
    আন্তর্জাতিক

    ইরানের পর ইসরায়েলের লক্ষ্য কী পাকিস্তান?

    July 16, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা কি কেটে উঠা সম্ভব?

    অর্থনীতি May 29, 2025

    বাজেটের স্বাধীনতা: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অন্যতম নিয়ামক

    আইন আদালত June 1, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2024 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.