ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতসহ ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের বরিশাল অফিস থেকে ইতোমধ্যে ১৮ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি এবং অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তলব করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে। তলব করা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন: সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ শাখার প্রধান স্বপন কুমার দাস, সার্ভেয়ার তাপস, নাছির ও মশিউর, সার্ভেয়ার ও আর্কিটেক্ট সাইদুর, জনসংযোগ কর্মকর্তা রোমেল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা লকিতুল্লাহ, সম্পত্তি শাখার কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ, প্লান শাখার কর্মকর্তা লোকমান ও কালটু, সম্পত্তি শাখার মাহাবুবুর রহমান শাকিল, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মশিউর রহমান, বাজার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম, ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট আজিজুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী এইচএম কামাল ও সাইফুল ইসলাম মুরাদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির এবং সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সচিব মাছুমা আক্তার। দুদক সূত্র বলছে, অনুসন্ধানের প্রাথমিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের সম্পদ বিবরণ, পদের অপব্যবহার, ঘুষ ও ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।