Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Sat, Dec 20, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » আওয়ামী লীগ আমলের আট মেগা প্রকল্পে অতিরিক্ত খরচ ৯১ হাজার কোটি টাকা
    অপরাধ

    আওয়ামী লীগ আমলের আট মেগা প্রকল্পে অতিরিক্ত খরচ ৯১ হাজার কোটি টাকা

    নাহিদAugust 21, 2025Updated:August 25, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    মেগা প্রকল্পে
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা মূল্যায়নে গঠন করা হয় শ্বেতপত্র কমিটি এবং অর্থনৈতিক কৌশল নির্ধারণে একটি টাস্কফোর্স। তাদের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাস্তবায়িত আটটি মেগা প্রকল্পে প্রারম্ভিক ব্যয়ের তুলনায় অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৭ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার বা ৯১ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে হিসাব)।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্বল পরিকল্পনা, বাস্তবায়নে বিলম্ব এবং দুর্নীতিই এই বাড়তি খরচের মূল কারণ। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এ নিয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

    প্রথমে এই আট প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল ১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। কিন্তু নির্মাণ শেষে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। ফলে প্রারম্ভিক ব্যয়ের তুলনায় ৬৮ শতাংশ বা ৯১ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা বেশি খরচ হয়েছে।

    প্রকল্পগুলো হলো—পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, যমুনা রেলওয়ে সেতু, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, এমআরটি লাইন-৬, বিআরটি-৩ (বিমানবন্দর-গাজীপুর) এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল।

    প্রকল্পভিত্তিক ব্যয় বৃদ্ধি

    • পদ্মা সেতু: অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩১ হাজার কোটি। বৃদ্ধি ২২১ শতাংশ।
    • পদ্মা সেতু রেল সংযোগ: শুরুর ব্যয় ছিল ৩৭ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। শেষ হয়েছে ৫৪ হাজার ৯০০ কোটিতে। বৃদ্ধি ৪৫ শতাংশ।
    • যমুনা রেল সেতু: ১০ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকায় শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৬ কোটিতে। বৃদ্ধি ৭৩ শতাংশ।
    • ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে: শুরুর ব্যয় ১৩ হাজার ৬৬৪ কোটি, শেষ ব্যয় ১৭ হাজার ৯৩৪ কোটি। বৃদ্ধি ৩১ শতাংশ।
    • কর্ণফুলী টানেল: প্রাথমিক খরচ ছিল ১ হাজার ২০০ কোটি, শেষ পর্যন্ত দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৬৪০ কোটি। বৃদ্ধি ২২ শতাংশ।
    • এমআরটি লাইন-৬: ২৫ হাজার ৬২০ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ হাজার ২৬০ কোটি। বৃদ্ধি ৫৭ শতাংশ।
    • বিআরটি-৩ (বিমানবন্দর–গাজীপুর): ৫ হাজার ৩৬৮ কোটি থেকে বেড়ে ৭ হাজার ৭৬ কোটি টাকা। এখনো অসম্পূর্ণ। বৃদ্ধি ৩২ শতাংশ।
    • শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল: ১৫ হাজার ৮৬০ কোটি থেকে বেড়ে ২৬ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। বৃদ্ধি ৬৯ শতাংশ।

    মেগা প্রকল্পে এ ধরনের অতিরিক্ত ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, যেভাবে বেসরকারি ব্যাংক খাতে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ফরেনসিক অডিট করা হয়েছে, ঠিক তেমনি এসব প্রকল্পেও আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা হওয়া উচিত।

    ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং কেপিএমজি বাংলাদেশের পার্টনার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, বিদেশি ঋণ ও ঠিকাদারদের কারণে প্রকল্প খরচের একটি বড় অংশ দেশীয় বাজারের বাইরে গেছে। এ অবস্থায় মানসম্পন্ন নিরীক্ষা করতে হলে তা বিশেষায়িত হতে হবে। নির্মাণসামগ্রীর মান, প্রকৃত দাম এবং আন্তর্জাতিক তুলনামূলক ব্যয়ের সঙ্গে বিশ্লেষণ করতে হবে। এজন্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকেই নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

    বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও টাস্কফোর্স প্রধান ড. কেএএস মুর্শিদ বলেন, অতিরিক্ত যে টাকা খরচ হয়ে গেছে, তা আর ফেরত আনার সুযোগ নেই। তবে ভবিষ্যতে যেন এভাবে অপচয় না হয়, সেজন্য টাস্কফোর্স সুপারিশ করেছিল। কিন্তু সরকার সে বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।

    বুয়েটের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশে প্রচুর সম্পদ নষ্ট হয়। জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব, দরপত্রে জটিলতা, দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিই মূল কারণ। তিনি মনে করেন, প্রতিটি বড় প্রকল্পের জন্য গ্রহণযোগ্য তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে নিরীক্ষা করতে হবে। এতে জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।

    তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, আপাতত কোনো আন্তর্জাতিক নিরীক্ষার পরিকল্পনা নেই। তার ভাষায়, “বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে দুদক কাজ করছে। আলাদা করে নিরীক্ষার পরিকল্পনা আমাদের হাতে নেই।”

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    ভর্তুকির চাপ বাড়ায় কমছে আর্থিক সক্ষমতা

    December 20, 2025
    অর্থনীতি

    ইনকিউবেশন সেন্টারের সেবায় এসএমই উদ্যোক্তা হয়েছেন ১৩৮ জন

    December 20, 2025
    অর্থনীতি

    পাঁচ মাসে ৫% টাকাও খরচ করতে পারেনি ৮ মন্ত্রণালয়

    December 20, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.