দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর দুদক অগ্রণী ব্যাংকের তৎকালীন জিএম মাসুদ (ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ) এবং ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হামিদসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল। এছাড়া রূপালী ব্যাংকে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি পৃথক অনুসন্ধানও চলমান রয়েছে।
অনুসন্ধানের মূল অভিযোগ হলো—রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালীন তিনি বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক ও আমানতকারীদের অর্থ তছরুপ করেছেন। পাশাপাশি তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেনও অনুসন্ধানের আওতায় এসেছে। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ১১ মাসের মাথায় গত জুলাইয়ে পদত্যাগ করেন। এর আগে তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সংস্থাটির দুই কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম এই অনুসন্ধানের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়েছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের কর্মকালে সংঘটিত একাধিক অনিয়ম ও আর্থিক অসঙ্গতি নিয়ে একটি বিশদ প্রতিবেদন দুদকে পাঠায় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে।
গত ১৫ জুলাই বিএফআইইউ ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম, দুই ছেলে জুন্নুন সাফওয়ান ও জুনায়েদ জুলাকারনায়েন টিয়ান এবং মেয়ে তাসমিয়া তারান্নুম নওমির ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল।