Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Tue, Jun 17, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • মতামত
    • সাহিত্য
    • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » তৈরি পোশাক খাতে বিদেশি ক্রেতাদের প্রত্যাবর্তন
    অর্থনীতি

    তৈরি পোশাক খাতে বিদেশি ক্রেতাদের প্রত্যাবর্তন

    হাসিব উজ জামানOctober 20, 2024Updated:October 20, 2024
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    স্থানীয় পোশাক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় পশ্চিমা ক্রেতারা বাংলাদেশে ফিরে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এবং প্রধান শিল্প অঞ্চলগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পোশাক শিল্পে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। তবে এখন ক্রেতারা কারখানা পরিদর্শন এবং উৎপাদনের খোঁজখবর নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

    পশ্চিমা ক্রেতারা আগামী শরৎ ও শীত মৌসুমের জন্য কার্যাদেশ দিতে শুরু করেছেন। এনভয় লিগ্যাসির চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ জানান, আসন্ন মৌসুমের কার্যাদেশ প্রবাহে বড় ধরনের কোনো চ্যালেঞ্জ তার চোখে পড়ছে না। তিনি বলেন “তারা এখান থেকে অর্ডার সরায়নি।” তবে উৎপাদনে বিলম্বের কারণে অনেক কারখানাকে এয়ার শিপমেন্টে যেতে হচ্ছে, যা তাদের জন্য বাড়তি খরচ সৃষ্টি করছে।

    তিনি উল্লেখ করেন যে স্থিতিশীল উৎপাদন পরিবেশ সরবরাহকারী ও খুচরা বিক্রেতা উভয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরের শুরুতে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে প্রধান শিল্প অঞ্চলের পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে কিছু গ্রীষ্মকালীন অর্ডার বাংলাদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশে চলে গেছে।

    কুতুবউদ্দিন আহমেদ আরও জানান যে কিছু ব্যাংক ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছে না যা তারল্য সংকট, মার্কিন ডলার সংকট ও গ্রাহকের টাকা পরিশোধের সক্ষমতা কমানোর কারণে হয়েছে। এই অবস্থায় পোশাক ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।

    একজন ইউরোপীয় ক্রেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, অস্থিরতার কারণে তাদের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে কোনো অর্ডার অন্যদেশে স্থানান্তর করেনি। তিনি আরও বলেন, “উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে কিন্তু এখনো কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো নিয়ে আমাদের সদরদপ্তর উদ্বিগ্ন।”

    তিনি জানান যে ক্রেতারা অর্ডারের পরিমাণ কমানোর পরিকল্পনা করছেন না তবে সামগ্রিক পরিমাণ হয়তো আগের পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে না। কারণ যেকোনো অস্থিরতার নেতিবাচক পরিণতি থাকে।

    ডেকো লিগ্যাসি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কল্পন হোসেন জানান, শিল্পাঞ্চলগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে এবং কারখানাগুলো উৎপাদন শুরু করেছে। তিনি বলেন, “ক্রেতারা স্থিতিশীলতা চায় কারণ তাদের সময়মতো পণ্য চালান ও মুনাফা নিশ্চিত করতে হবে।”

    কল্পন হোসেন জানান যে তার কারখানা সেপ্টেম্বরের ২৩ দিন এবং অক্টোবরে ৫ দিন বন্ধ ছিল। এর ফলে দৈনিক ৮০ হাজার পিস ট্রাউজার ও জ্যাকেট উৎপাদন কমে যায়, যার বাজারমূল্য ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে স্থিতিশীল ব্যবসা ও রাজনৈতিক পরিবেশ অব্যাহত থাকলে আগামী মৌসুম ব্যবসার জন্য ভালো হবে।

    অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহির জানান যে এখন পর্যন্ত তার কোনো ক্রেতা কার্যাদেশ বাতিল করেনি। তিনি আশাবাদী যে আগামী মৌসুমগুলো ভালো যাবে কারণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ক্রেতারা এখন অর্ডার বাড়াচ্ছেন।

    শ্রমিক অসন্তোষ মূলত ঢাকার আশেপাশের শিল্পাঞ্চলকে কেন্দ্র করে হয়েছে ফলে অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত পোশাক কারখানাগুলোর উৎপাদন অনেকটাই সচল ছিল। দেশ গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদ্যা অমৃত খান বলেন “ঢাকার অন্যান্য শিল্পাঞ্চলের তুলনায় চট্টগ্রামের পরিবেশ তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকায় আগামী মৌসুমের জন্য আমার ওয়ার্ক অর্ডার রয়েছে।”

    তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক ব্যবসায়িক পরিবেশ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার একটি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, শিপমেন্ট বিলম্বের কারণে ক্রেতারা ছাড় দাবি করছেন।

    তিনি জানান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও তীব্র প্রতিযোগিতা ছাড়াও পোশাক প্রস্তুতকারক ও টেক্সটাইল মিল মালিকদের সামনে অন্যান্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে স্বাভাবিক গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। লিটল গ্রুপের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, গ্যাস সংকট ও লোডশেডিংয়ের কারণে তাদের সুতা উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমে গেছে। আশুলিয়ায় তার মিলে প্রতিদিন ২৪ হাজার পাউন্ড সুতা উৎপাদন হলেও বর্তমানে তা ১২ হাজার পাউন্ডে নেমে এসেছে।

    তিনি মনে করেন, গার্মেন্টস অর্ডার বৃদ্ধির সাথে সাথে সুতার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ একটি বড় বাধা হতে পারে। ক্লথস আর আসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিয়াও সেইন থাই ডলি বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তবে এখন তারা এবং ক্রেতারা উভয়ই আশাবাদী হতে চান।

    বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, অস্থিরতার কারণে শরতের পোশাক উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। তিনি জানান যে পুনরুদ্ধার হওয়া ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং সময়সীমা পূরণে অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আশ্বস্ত করতে বিজিএমইএ আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবে।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    পরিসংখ্যানে স্বপ্ন, পকেটে শূন্যতা

    June 16, 2025
    অর্থনীতি

    ঈদ শেষে কমেছে ক্রেতার উপস্থিতি: ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা কেজি

    June 16, 2025
    অর্থনীতি

    চীনে শুরু নতুন আকাশযুগ: উড়ুক্কু গাড়ি ও ড্রোনের বাস্তব ব্যবহার

    June 16, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা কি কেটে উঠা সম্ভব?

    অর্থনীতি May 29, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    বাজেটের স্বাধীনতা: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অন্যতম নিয়ামক

    আইন আদালত June 1, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2024 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.