বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে আরও কার্যকরী ও বিনিয়োগবান্ধব করার লক্ষ্যে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে সংগঠনটি মূলধনী আয় বা গেইন ট্যাক্সের ওপর আরোপিত কর স্থগিত এবং সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর বিদ্যমান করের হার কমানোর দাবি জানিয়েছে।
৩০ অক্টোবর বুধবার ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে ডিবিএ জানায়,
বর্তমান আয়কর আইন অনুসারে, পুঁজিবাজারে মূলধনী আয়ের (৫০ লাখ টাকার অধিক) ওপর স্তরভিত্তিক কর আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু বিগত ও বর্তমান বছরে যে মূলধনী লোকসান হয়েছে, সেটি ভবিষ্যৎ মূলধনী আয়ের সাথে সমন্বয় করার কোন বিধান নেই। ফলে বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে বাজার থেকে বিমুখ হয়ে পড়েছেন।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য ডিবিএ পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগ সমৃদ্ধ করতে এবং বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে মূলধনী আয়ের ওপর বিদ্যমান কর কমপক্ষে দুই বছরের জন্য স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছে।
এছাড়া, সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর কর কমানোর জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রোকারেজ হাউজগুলো দুটি স্তরে কর প্রদান করে- সিকিউরিটি ক্রয়-বিক্রয়ের উপর দশমিক ০৫ শতাংশ এবং কর্পোরেট আয়কর। মন্দা বাজারের কারণে এই দ্বিস্তরের কর ব্যবস্থা ব্রোকারদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে। তাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আয় নেই, তবুও আয়কর প্রদান করতে হচ্ছে। মাঝারি বাজারে এই করের হার ৬০ শতাংশ বা তারও বেশি হয়ে যাচ্ছে।
ডিবিএর মতে,
এই করনীতি ব্রোকারদের ব্যবসাকে সংকুচিত করছে এবং আর্থিক সংকটের কারণে অনেক ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডিং কার্যক্রম সচল রাখতে রাজস্ব করহার দশমিক ০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ০২ শতাংশ করার জন্য সংগঠনটি অনুরোধ করেছে।
ডিবিএর এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উন্নত হবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত জরুরি।