অক্টোবরে সার্বিকভাবে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২ শতাংশ। ১৮ মাসের মধ্যে বৈশ্বিক খাদ্যের মূল্য অক্টোবরেই সর্বোচ্চ স্তরে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এমনটাই জানায়, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ বৈরী আবহাওয়া ও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান। এমতাবস্থায় কৃষি উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি হয়েছে, যা খাদ্য বাজারকে অনিশ্চিত করে তুলেছে বলে ধারনা করা হয়।
অক্টোবর মাসে ভোজ্য তেলের মূল্য ৭.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দুবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে প্রত্যাশার থেকে কম উৎপাদনের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে পাম, সয়াবিন, সূর্যমুখী ও সরিষার তেলের মূল্য। যাতে মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে ভোজ্য তেল।
অক্টোবর, ২০২৩ তুলনায় শস্যের মূল্য এখনও ৮.৩ শতাংশ কমই আছে। রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রে বৈরী আবহাওয়ার কারণেও মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে অনেকাংশে। তবুও সর্বপরি- শস্যের মূল্য ০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগের বছরের তুলনায় ডেইরি এবং দুগ্ধজাত পণ্যের দাম ১.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২১.৪ শতাংশ এসে দাঁড়িয়েছে। চিনির দাম অক্টোবর মাসে ২.৬ শতাংশ বেড়েছে। ব্রাজিলে খরার কারণে চিনির উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে এবং জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিও এর একটি বড় কারণ। তবে, গত বছরের তুলনায় চিনির মূল্য এখনও ১৮.৬ শতাংশ কম।
২০২৩ সালের অক্টেবরে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের যে দাম ছিল, তার তুলনায় চলতি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তা বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।