ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিপ্টো–বান্ধব হবে প্রত্যাশা আর্থিক বাজারের। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে, এরপর থেকেই বিটকয়েনের এই রমরমা অবস্থা। এর উপর ভিত্তি করেই একটি বিটকয়েনের দাম প্রায় ৯০ হাজার ডলারে উঠেছে।
মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে বিটকয়েন পাল্লা দিচ্ছে ইলন মাস্কের টেসলার সঙ্গে। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। বিনিয়োগকারীরা মনে করেছেন, ট্রাম্পের বন্ধুরা এবং যেসব বিষয়ে তাঁর আগ্রহ আছে, সেসব বিষয় তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভালো করবে।
রয়টার্স মাধ্যমে জানা যায় , বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম চলতি সপ্তাহে বাড়েছে। গত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বিটকয়েনের দাম ২৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এশিয়ায় আজ মঙ্গলবার একটি বিটকয়েন বিক্রি হয়েছে ৮৯ হাজার ৬৩৭ ডলারে।
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান গ্যারি গেনসলার আর খুব বেশি দিন তাঁর দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। কারণ, ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি তাঁকে পরিবর্তন করবেন। গ্যারি গেনসলারের অধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি ক্রিপ্টোর ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি চালাত। গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প নিজেও একটি ক্রিপ্টো ব্যবসা চালু করেছেন, যার নাম ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিন্যান্সিয়াল।
ডিজিটাল সম্পদবিষয়ক প্রতিষ্ঠান কিরকের এশিয়া–প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যবসা উন্নয়নবিষয়ক প্রধান জাস্টিন ডি’অ্যানেথান বলেন, ‘আমরা যা দেখছি, তা কেবল দামের একটি মাইলফলক নয়; বিটকয়েন যে একটি স্থিতিশীল, এমনকি রাজনৈতিকভাবে প্রশয়প্রাপ্ত সম্পদ—এ ইঙ্গিত ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে।’
সিডনির এটিএফএক্স গ্লোবালের প্রধান বাজার বিশ্লেষক নিক টুইডেল বলেন, ‘পরিষ্কারভাবেই এটা ট্রাম্পের জন্য হচ্ছে। কারণ, তিনি এই শিল্পের খুবই সমর্থনকারী। এর মানে হলো, ক্রিপ্টোর মজুত ও মুদ্রা উভয়েইর চাহিদা আরও বাড়বে। নির্বাচনের ফল আসার পর বিটকয়েনের দাম প্রায় রেকর্ড পর্যায়ে ওঠার মানে হলো, এই মুদ্রার ওপরে কেবল খোলা আকাশ রয়েছে।’