বাজারে ক্রমাগত বেড়ে চলা আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ঢাকার বাজারে যেখানে আলুর কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেখানে টিসিবি মাত্র ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কার্যক্রম শুরু হবে আগামীকাল বুধবার।
মঙ্গলবার টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরে ৫০টি ট্রাকের মাধ্যমে এই আলু বিক্রি করা হবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৩ কেজি আলু কিনতে পারবেন। এতে করে একজন ক্রেতা ৯০ থেকে ১০৫ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ উদ্যোগ-
আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এই পরিস্থিতিতে তাদের সহায়তা করতেই ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু আলু নয়, এর পাশাপাশি টিসিবির ট্রাকগুলোতে অন্যান্য পণ্য যেমন ভোজ্যতেল, মসুর ডাল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ করা চালও সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
টিসিবির তথ্যমতে, এক কোটি নিম্ন আয়ের উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবার এই সাশ্রয়ী দামের পণ্য কেনার সুবিধা পাচ্ছে। ঢাকায় ৫০টি এবং চট্টগ্রামে ২০টি স্থানে ট্রাক সেলে এই কার্যক্রম চলছে।
ঢাকার কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। নতুন করে আলু যোগ হওয়ার ফলে টিসিবির পণ্য তালিকায় পরিবর্তন আসছে। এখন একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ৫ কেজি চাল এবং ৩ কেজি আলু কিনতে পারবেন।
সাশ্রয়ী দামে পণ্যের তালিকা-
টিসিবির ট্রাক থেকে বিক্রিত পণ্যগুলোর দাম নিম্নরূপ:
– প্রতি লিটার ভোজ্যতেল: ১০০ টাকা
– প্রতি কেজি মসুর ডাল: ৬০ টাকা
– প্রতি কেজি চাল: ৩০ টাকা
– প্রতি কেজি আলু: ৪০ টাকা
বিপণন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ-
টিসিবির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এমন সাশ্রয়ী মূল্য বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে, নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে।
এভাবে সরকারি পদক্ষেপের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।