গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হরিপুর-কুড়িগ্রামের চিলমারী সংযোগ সড়কে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত মওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধনের পরদিনই পড়েছে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে। সেতুর সড়কবাতির বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রায় ৩০০ মিটার তার চুরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতকারীরা মাটি খুঁড়ে নিচ দিয়ে স্থাপন করা ওই তার কেটে নিয়ে গেছে। পাশাপাশি লুট হয়েছে কানেক্টর পিন। ফলে সেতুটি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেড়ে গেছে।
গতকাল দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল চৌধুরী। তিনি জানান, উদ্বোধনের পরদিন রাতেই দুর্বৃত্তরা বৈদ্যুতিক তার ও কানেক্টর পিন নিয়ে গেছে। এরপর থেকে সেতুর আলোকসজ্জা বন্ধ রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই লাইট না থাকায় সেতুটি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ও যাত্রীরা সেই মুহূর্তের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ২০ আগস্ট দুপুর পৌনে ২টায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সেতুটি উদ্বোধন করেন।

স্থানীয়রা বলছেন, সেতুটি এখন শুধু যাতায়াতের মাধ্যম নয়, বরং একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সেতু দেখতে ভিড় করছেন। তাই এখানে আগত দর্শনার্থীরা যেন নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারেন এবং পথচারীরা রাতেও স্বাচ্ছন্দ্যে পারাপার হতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অন্যথায় সেতু নির্মাণের মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল চৌধুরী জানান, “বিষয়টি আমরা রাতেই জানতে পেরেছি। উদ্বোধনের পরদিন কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা সেতুর বৈদ্যুতিক তার চুরি করেছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঙ্গে দ্রুত নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার কাজ শুরু হবে। সেতুতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।”

