বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বন্ডের অপব্যবহারকারীদের সুনির্দিষ্ট তালিকা চেয়েছেন।
গতকাল রবিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। এতে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী।
মাহমুদ হাসান বলেন, “আমাদের স্পষ্টভাবে জানাতে হবে কোন সদস্য বন্ডের অপব্যবহার করছে। যেসব সদস্য নিয়ম ভঙ্গ করছে তাদের সেবা বন্ধ করা হবে। আমরা ২২টি প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছি, যাতে তারা এ ধরনের অনিয়ম না করে। মুষ্ঠিমেয় কয়েকজনের জন্য পুরো শিল্পকে দায়ী করা আমরা গ্রহণ করব না।”
তিনি আরও জানান, “যাদের বন্ড লাইসেন্স নেই, তাদের ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে উপকরণ আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটি কার্যকর হলে অন্তত ২০০ সদস্য বন্ড লাইসেন্স ছাড়বেন। কারণ বন্ড লাইসেন্স রাখার ঝক্কি-ঝামেলা অনেকের কাছে বোঝার বাইরে। ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে আমদানি সহজ হলে সবাই সুবিধা পাবে।”
কর অব্যহতির ক্ষমতা নিয়ে তিনি বলেন, “এ ক্ষমতা এনবিআরের চেয়ারম্যান বা অর্থ উপদেষ্টার কাছে থাকবে না। এটি সংসদের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। আমরা এটি সাধুবাদ জানাই। একইসঙ্গে বলতে চাই, কোনো সুবিধা বন্ধ করার ক্ষেত্রেও সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন। চলমান সুবিধা হঠাৎ করে এসআরও দিয়ে বন্ধ করা যেন আর না হয়।” বিজিএমইএ সভাপতি অটোমেশনের পক্ষে থাকার কথাও বলেন। “অটোমেশন ছাড়া দুর্নীতি বন্ধ হবে না। এটি সময়ের ব্যাপার, বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে।”
তিনি বন্ড লাইসেন্স ব্যবহারকারীদের তালিকা চাইলেও তা সরাসরি দেওয়া সম্ভব নয়, জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “বন্ড কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ উত্তীর্ণ না হলে চাকরিতে সমস্যা হবে। অদক্ষ কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। বন্ডের সব কাজ দ্রুত অটোমেশন করা হবে। ভবিষ্যতে কোনো কাজ মান্যুয়ালি হবে না।”

