কিছু প্রকল্প এখন শুধু স্মারক বা ভাস্কর্যের মতো হয়ে আছে। শত শত কোটি টাকা খরচ করেও এগুলো বাস্তবে বেশি উপকার দেয়নি। এসব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোতে আরও জবাবদিহি ও সংযম দেখানো জরুরি। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে।
গতকাল রবিবার (১৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে ‘নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, অর্থ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব মন্তব্য করেন।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আগামী মাসগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যমান কাঠামোকে পরিমার্জন ও সমন্বিত করে নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর আমাদের মূল দায়িত্ব। এতে তারা এগুলো আরও আধুনিক ও কার্যকরভাবে এগিয়ে নিতে পারবে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় উন্নয়ন শুধু অর্থনীতিতেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। জনগণ খাদ্য ও মৌলিক চাহিদার চেয়েও বেশি কিছু প্রত্যাশা করে।
উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা জাতীয় উন্নয়নের অপরিহার্য অংশ। এই খাতগুলোতে মনোযোগ দিলে বাংলাদেশ আরও সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। ড. সালেহউদ্দিন আরও জানান, অর্থনীতি ধ্বংস হয়নি, বরং পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। গত আগস্টের চ্যালেঞ্জিং সময়ের তুলনায় এখন দেশের অর্থনীতি অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি রিজার্ভ ও রপ্তানি খাতে ইতিবাচক অগ্রগতির স্পষ্ট লক্ষণ দেখছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে। প্রধান বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশের অর্জন ও অগ্রগতি স্বীকার করেছে।
ভবিষ্যতের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় কমানো ও জবাবদিহি বজায় রাখার পরামর্শ দেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি অতীতের মেগা প্রকল্পগুলোর ব্যয়কে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকার গুরুত্বও তুলে ধরেন। প্রকৃত সত্য উদঘাটনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে এবং গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে ত্রুটি ও বিচ্যুতি তুলে ধরতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ম্যানেজমেন্ট বোর্ড বিএপিও-নগদের চেয়ারম্যান কায়সার এ চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

