চট্টগ্রাম বন্দরে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালস। প্রতিষ্ঠানটি এপি মোলার মার্স্ক গ্রুপের সহযোগী। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) মাধ্যমে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য কোম্পানিটি ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এপিএম টার্মিনালস এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তিতে সই করেন এপিএম টার্মিনালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টেইন ভ্যান ডোঙ্গেন এবং চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সৈয়দ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) সিইও চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। প্রধান অতিথি ছিলেন শিপিং উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি লিনা গ্যান্ডলোসে হ্যানসেন, বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার এবং মার্স্ক বোর্ড চেয়ারম্যান রবার্ট মার্স্ক উগলা। লার্জ স্কেল নির্মাণের পর, লালদিয়া টার্মিনাল ২০২৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, এপিএম টার্মিনালস টার্মিনালের নকশা, অর্থায়ন, নির্মাণ ও পরবর্তী ৩০ বছরের পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
শিপিং উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এ বিনিয়োগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। বিশেষ করে যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছে তাদের জন্য। প্রকল্প শেষ হলে অনেক তরুণের কর্মসংস্থান হবে।” তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি মংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজও চলছে। মংলাতে নতুন বিনিয়োগ আসছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই উদ্যোগ সমুদ্রপথ সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সমাধান করবে।
পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, “আগামী কয়েক বছরে চারটি নতুন সমুদ্রবন্দর তৈরি হবে। এর মধ্যে একটি হবে গভীর সমুদ্রবন্দর, একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল এবং একটি ডেডিকেটেড ফ্রি ট্রেড জোন।”
ভিডিও বার্তায় ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার শুরুর দিকে ডেনমার্ক সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত পাঁচ দশকে দুই দেশের উন্নয়ন সহযোগিতা সফল হয়েছে। এখন আমাদের সম্পর্ক ব্যবসায়িক পর্যায়ে পৌঁছেছে। মাথাপিছু হিসেবে ডেনমার্ক বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বড় রপ্তানি গন্তব্য।”

