এসএমই ফাউন্ডেশনের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারের সেবা নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩৮ জন উদ্যোক্তা নিজেদের ব্যবসা শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৭২ জন পুরুষ এবং ৬৬ জন নারী। প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ ও বাজারসংযোগের সহায়তায় তারা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন।
গত বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবন মিলনায়তনে ইনকিউবেশন সেন্টারের সেবাপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল হাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও কে–ক্র্যাফটের ম্যানেজিং পার্টনার খালিদ মাহমুদ খান এবং ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব উদ্যোক্তা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, চীন, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের আন্তর্জাতিক মেলাতেও অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে গণি ক্রিয়েশনের মো. মাহফুজুল গণি ২০২২ সালে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কারও অর্জন করেছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালাম সরদার জানান, বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্যোক্তাদের জন্য কাজের সুযোগ, প্রশিক্ষণ, নেটওয়ার্কিং, দেশি-বিদেশি মেলায় অংশগ্রহণ, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা, ব্যবসায়িক পরামর্শ, ঋণপ্রাপ্তি ও আইনগত সহায়তা সহ নিয়মিত নানা সেবা প্রদান করছে।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, “ইনকিউবেশন সেন্টারের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসায়িক জ্ঞান, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন করছেন। এ ধরনের স্বীকৃতি তাঁদের আরও অনুপ্রাণিত করবে।”
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯৯ শতাংশই কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতভুক্ত। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এই খাত সৃষ্টি করে। দেশে মোট দেশজ উৎপাদনে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩০ শতাংশ। সরকারের জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ ও এসডিজি ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশন এই খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

