জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’-এর সফলতা অভিনেত্রী শ্রেয়া চৌধুরীর জীবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। প্রথম সিজনের পর দ্বিতীয় সিজনেও দর্শকের ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত এই অভিনেত্রী। তাঁর মতে, ‘মানুষ সিরিজটি গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখেছেন, তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় তা স্পষ্ট। এই সিরিজ আমাকে অনুভব করিয়েছে যে আমি সত্যিকারের একজন অভিনেত্রী।’
শ্রেয়া আরো জানান, বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ শুধু আমার ক্যারিয়ার নয়, সাধারণ দর্শকের জীবনেও প্রভাব ফেলেছে। প্রথম সিজন মুক্তির পর অনেকে তাঁদের সন্তানদের শাস্ত্রীয় সংগীত শেখানো শুরু করেছেন। একজন শিল্পী হিসেবে এটি আমার জন্য গর্বের বিষয়।
শুধু পেশাগত নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও এই সিরিজের বড় প্রভাব পড়েছে শ্রেয়ার ওপর। তিনি জানান, তাঁর মা তাঁকে বলেছেন- সিরিজ করতে গিয়ে যা কিছু শিখেছেন, তা যেন আজীবন লালন করেন।
পরিচালক আনন্দ তিওয়ারির বক্তব্য উল্লেখ করে শ্রেয়া বলেন, তিনি বলেছিলেন, আমরা মাত্র ১ শতাংশ মানুষ যারা এই সিরিজের অংশ হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এর চেয়ে বড় সফলতা আর কী হতে পারে!বাইরের একজন হয়ে বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে শ্রেয়াকে। তবে কঠিন বা সহজ পথ নিয়ে বিশেষ ভাবনা নেই তাঁর। তিনি বলেন, এই পথ আমি নিজেই বেছে নিয়েছি এবং এর প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি। তাঁর মতে, জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম জরুরি।
রাজস্থান থেকে মুম্বাই আসার পর শুরুতে পরিবারের সমর্থন না পেলেও তাঁর ভাই সবসময় পাশে ছিলেন। এখন অবশ্য তাঁর সাফল্যে পরিবারও গর্বিত।
শ্রেয়া ছোটবেলা থেকেই প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা পোষণ করেন। তাঁর মতে, অভিনয় জগতের প্রত্যেকেই তাঁর প্রতিযোগী, তবে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিজের সঙ্গেই। নিজেকে আরো ভালো করার চেষ্টা করি সব সময় বলে জানান তিনি।
সল্প সময়ের ক্যারিয়ারে মনীষা কৈরালা, নাসিরুদ্দিন শাহ, অতুল কুলকার্নি ও দিব্যা দত্তর মতো বরেণ্য অভিনেতাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা শ্রেয়ার জন্য অনন্য অর্জন। তিনি বলেন, তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, যা আমার অভিনয়জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে বোমান ইরানি পরিচালিত ও অভিনীত ছবি ‘দ্য মেহতা বয়েজ’, যেখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রেয়া। সাক্ষাৎকারের শেষে তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ছবিটা দেখে অবশ্যই জানাবেন কেমন লাগল।