ফেনারবাচের কোচ জোসে মরিনিও আবারও ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন। পোর্তো ও ইন্টার মিলানের সাবেক এই কোচ দাবি করেছেন, উয়েফা তাঁর প্রতি ভিন্ন চোখে তাকাচ্ছে।
বিশেষ করে ২০২৩ ইউরোপা লিগ ফাইনালের পর থেকে তাঁর প্রতি এই আচরণ শুরু হয়েছে। মরিনিও জানুয়ারিতে এএস রোমা থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর তুর্কি ক্লাব ফেনারবাচের দায়িত্ব নিয়েছেন।
গত বছর তিনি রোমাকে ইউরোপা লিগের ফাইনালে তুলেছিলেন, যেখানে সেভিয়ার বিপক্ষে খেলা হয়। ওই ম্যাচে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ ড্র করার পর টাইব্রেকারে সেভিয়া ৪-১ গোলে জয়ী হয়। মরিনিওকে ওই ম্যাচের পর রেফারি অ্যান্থনি টেলারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে উয়েফা।
মরিনিওর অভিযোগ,
“আমি বিশেষ সুবিধা চাই না। আমি স্বাভাবিক আচরণই আশা করি। যদি ভুল করে থাকি, তাহলে শাস্তি বা জরিমানা মাথা পেতে নেব। কিন্তু যদি আমি নির্দোষ থাকি, তাহলে আমাকে শান্তিতে থাকতে দিন।”
এই অভিযোগ করে তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে, ইউরোপে আমি একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। ফাইনালে এমনভাবে হেরে যাওয়া আমার জন্য খুব কঠিন।”
গত সপ্তাহে ইউরোপা লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-১ ড্র ম্যাচে মরিনিও সরাসরি লাল কার্ড পান। পেনাল্টির আবেদনে রেফারি সাড়া না দেওয়ায় তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সাক্ষাৎকারে মরিনিও বলেছেন,
“মাঠে আমি যেমন আচরণ প্রাপ্য, তেমন আচরণ অন্য কোচদেরও প্রাপ্য।”
তিনি যুক্ত করেছেন, “আপনি কার্লো আনচেলত্তি হোন কিংবা তরুণ কোনো কোচ, সমান আচরণের দাবি প্রত্যেকের জন্য।”
মরিনিও ইংল্যান্ডে ফেরার আশাও প্রকাশ করেছেন। “লন্ডন আমার ঘর,” বলেন তিনি। তবে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ফেনারবাচে থাকা অবস্থায় অন্য কোথাও যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
“আগামী দুই মৌসুম কেউ আমাকে ফেনারবাচ থেকে নিতে পারবে না। তবে একদিন আমি ইংল্যান্ডে ফিরতে চাই।”
মরিনিওর এই বক্তব্য ফুটবল বিশ্বের এক উত্তেজক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এবং ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনা ছড়িয়ে দিয়েছে।