উয়েফা নেশনস লিগের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়ে বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে জার্মানি। ফ্রেইবুর্গের ইউরোপা-পার্ক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে জার্মানির জয় শুধু গ্রুপসেরা হওয়ার গৌরবই নিশ্চিত করেনি, একই সঙ্গে এটি প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের খাতা খোলেন জামাল মুসিয়ালা। মাত্র ২৩ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন টিম ক্লেইনডিয়েনস্ট। বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের এই তরুণ ফরোয়ার্ড আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক করেছিলেন মাত্র এক মাস আগেই এবং সেই ম্যাচটিও ছিল বসনিয়ার বিপক্ষে। আবারো সেই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নেমে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন তিনি।
৩৭তম মিনিটে আর্সেনালের তারকা কাই হাভার্টজের দারুণ এক গোলের সুবাদে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় জার্মানির খেলোয়াড়েরা। ৫০ এবং ৫৭ মিনিটে টানা দুটি গোল করেন বায়ার লেভারকুসেনের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান ভির্টৎস।
৬৬ মিনিটে লেরয় সানের দৃষ্টিনন্দন গোলটি স্কোরলাইন ৬-০ তে নিয়ে যায়। এরপর ৭৯ মিনিটে ক্লেইনডিয়েনস্ট নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলের জয়কে ৭-০ তে রূপান্তরিত করেন।
জার্মানির এই জয় শুধু বড় ব্যবধানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এটি উয়েফা নেশনস লিগের ছয় বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে কোনো দলের সাত গোল করার রেকর্ড।
গ্রুপ শীর্ষে জার্মানি-
এই জয় দিয়ে গ্রুপ এ৩-এ ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে জার্মানি। তাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী নেদারল্যান্ডস রয়েছে ৮ পয়েন্টে, যা তাদের থেকে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে।
জার্মানির এমন পারফরম্যান্সের পর দলের কোচ ইউলিয়ান নাগলসমান স্বভাবতই খুশি। ম্যাচের পরে তিনি বলেন, “ম্যাচে আমাদের কেউ চোটে পড়েনি। আমাদের প্রতি আক্রমণ ছিল অসাধারণ মানের। আর রক্ষণে পড়ে থাকে এমন দলের বিপক্ষে ৭ গোলও বলার মতো একটি অর্জন।”
৭৪ নম্বরে থাকা বসনিয়ার মতো রক্ষণাত্মক দলের বিপক্ষে এমন বড় জয় জার্মান দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলে আশা করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
সামনে হাঙ্গেরির বিপক্ষে পরীক্ষা-
এই বড় জয়ের পর জার্মানি এখন পুরো দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে তাদের পরবর্তী ম্যাচে। মঙ্গলবার রাতে হাঙ্গেরির বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে দলটি। সেই ম্যাচেও জার্মানির কাছ থেকে একই ধরনের পারফরম্যান্স আশা করছেন সমর্থকেরা।
এই ঐতিহাসিক জয়ের মধ্য দিয়ে জার্মানি আবারও প্রমাণ করল যে, তারা ইউরোপীয় ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর।