বৈরুতের আকাশ বুধবার রাতে ইসরাইলি বোমার ভারে প্রকম্পিত হয়েছে। লেবাননের রাজধানীর দক্ষিণ শহরতলিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ইসরাইল ১৭ বার বিমান হামলা চালিয়েছে, যা আতঙ্কের ছায়া ফেলেছে পুরো এলাকাজুড়ে। রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত এই আক্রমণ চলে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই রাতটি ছিল রক্তাক্ত ও ধ্বংসাত্মক।
ইসরাইলি বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছিল, তারা হিজবুল্লাহর সঙ্গে জড়িত স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাবে। তবে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রথম তিনটি হামলার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা দেওয়া হয়নি, যা পূর্বের প্রচলিত হামলার কৌশল থেকে ভিন্ন।
প্রথম আক্রমণগুলো হয় হারেত হেরিক এবং লায়লাকি অঞ্চলে। এখানকার ছয়টি ভবন ইসরাইলি বোমার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বোমা হামলার পরপরই সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা নিকটবর্তী ভবনগুলোকে ঝুঁকির মুখে ফেলে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে কিনা বা সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।
হামলার পরের লক্ষ্যবস্তু ছিল দাহিয়েহ এলাকা, যা হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। গত এক মাস ধরে ইসরাইলের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে থাকা এই এলাকাটি কখনো ছিল জনবহুল। ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট চালাতো, এলাকাবাসীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতো। তবে লাগাতার হামলার কারণে মানুষজন জোরপূর্বক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং এখন এলাকাটি প্রায় ফাঁকা পড়ে আছে।
ইসরাইলের আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর অবস্থানকে দুর্বল করা, তবে এতে সাধারন মানুষের জীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৈরুতে হামলার ফলে ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ এখনো অজানা, তবে শহরজুড়ে আতঙ্ক ও অস্থিরতা বিরাজ করছে।