কানাডা ভারতকে ‘শত্রু দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন এক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ বিষয়ে রিপোর্ট করেছে।
এ উত্তেজনার মূল উৎস হচ্ছে খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ড। কানাডার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ডেভিড মরিসন সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শিখ নেতাদের টার্গেট করার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত। এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনের কর্মকর্তাকে প্রতিবাদপত্র প্রদান করেছে ভারত সরকার, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটিয়েছে।
এছাড়া, কানাডা সম্প্রতি তাদের ‘সাইবার হুমকি নিরূপণ প্রতিবেদন ২০২৫-২৬’ প্রকাশ করেছে, যেখানে ভারতকে সাইবার প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে যে, অটোয়া আন্তর্জাতিকভাবে তাদের আক্রমণ করার জন্য নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে।
পাঞ্জাবে শিখ ধর্মাবলম্বীদের আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন দীর্ঘদিনের, যা ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে তীব্র আকার ধারণ করে। সেসময় ভারত সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়, যার ফলে বহু শিখ খালিস্তানপন্থি নিহত হন।
এদিকে, কানাডা সরকার ভারতীয় কনস্যুলার কর্মকর্তাদের অবহিত করেছে যে, তারা অডিও এবং ভিডিও নজরদারির আওতায় রয়েছেন। ভারতের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ‘প্রকাশ্য লঙ্ঘন’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দুই দেশের সম্পর্কের এই তিক্ততা ও উত্তেজনা আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনাগুলোর পরিণতি কেমন হবে, তা এখন সবার নজরে।