যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনী উত্তাপ এবার আকাশ ছুঁয়েছে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
প্রাথমিক ফলাফলে কিছু রাজ্যে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে কমলা হ্যারিসও শক্ত অবস্থানে আছেন। এখন পর্যন্ত কোন দিকে ঝুঁকবে মার্কিনিদের সমর্থন, তা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে।
নির্বাচনের পূর্বাভাস বলছে, কেন্টাকি, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, আলাবামা, ফ্লোরিডা, মিজৌরি, ওকলাহোমা ও টেনেসি-এই অঙ্গরাজ্যগুলোতে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প জয়ের পথে রয়েছেন।
এককভাবে ফ্লোরিডার মতো বিশাল ৩০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে ট্রাম্পের সম্ভাব্য জয়ী রাজ্যগুলোর তালিকায়, যা তাকে জয়ের দিকে অনেকখানি এগিয়ে দিচ্ছে। এ পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী ট্রাম্পের সংগ্রহে ২১১টি ইলেকটোরাল ভোট জমা হতে পারে।
অপরদিকে, ভারমন্ট, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া, মেরিল্যান্ড ও ম্যাসাচুসেটসের মতো ডেমোক্রেটিক ঘাঁটিগুলোতে কমলা হ্যারিস এগিয়ে আছেন। সেখানে মোট ১৪৫টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই সংখ্যাগুলো এখনও চূড়ান্ত নয়, তবে এগুলো প্রার্থী দুজনের অবস্থান সম্পর্কে আভাস দিচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্য বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, অ্যারিজোনা ও নেভাদার মতো রাজ্যগুলোতে কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রাধান্য নেই, ফলে সেখানে ভোটারদের সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে মিশিগানে যেখানে কমলা হ্যারিস ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এবং ট্রাম্প ৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন কিন্তু এখানেও ভোটের গণনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। মাত্র ৮ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে এই রাজ্যে, তাই চূড়ান্ত ফল এখনই অনুমান করা কঠিন।
মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রার্থীদের প্রয়োজন ২৭০টি ভোট। ফলে, একাধিক রাজ্যের ফলাফল এখনো প্রকাশ না হওয়ায় চূড়ান্ত জয় নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। কিছু অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনা স্থগিত থাকায় এবং কৌতূহল বাড়ানোর জন্য ভোটের এই প্রাথমিক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয়।
নির্বাচনের এই তীব্র লড়াই ও ফলাফলের জন্য অপেক্ষা শুধু মার্কিনিরাই নয়, সারা বিশ্বের নজর এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে।