ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়, রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত দিয়ে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ইরানে আক্রমণ না করতে সতর্ক করেন ইসরায়েলকে। গাজায় ইসরায়েলের হামলাকেও ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স। একই সঙ্গে পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে পুরোপুরি ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি। মুসলিম ও আরব নেতাদের সম্মেলনে লেবানন ও ইরানে ইসরায়েলি হামলার সমালোচনা করেন যুবরাজ।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা’ বলে উল্লেখ করে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েল এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে। অবিলম্বে সংঘাত বন্ধ এবং ইসরায়েলের আগ্রাসন শেষ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মূলত ব্যর্থ হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের ফলে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং ২৫১ জন অপহৃত হন। এরপর ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করতে একটি সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় ৪৩ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গাজায় ছয় মাস ধরে যাচাই করা ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
শীর্ষ সম্মেলনে গাজায় জাতিসংঘের কর্মী ও স্থাপনার ওপর ইসরাইলের অব্যাহত হামলারও নিন্দা জানান নেতারা। এই শীর্ষ বৈঠকের প্রেক্ষাপটে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌদি আরবে ট্রাম্পকে জো বাইডেনের চেয়ে অনেক বেশি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়। তবে মধ্যপ্রাচ্যে তার সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি এবং অধিকৃত গোলান মালভূমির সংযুক্তি দিয়ে ইসরাইলকে খুশি ও মুসলিম বিশ্বকে ক্ষুব্ধ করেন।
উপসাগরীয় নেতারা ইসরায়েলের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে জানে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আরব নেতাদেরও সম্পর্ক ভালো রয়েছে এবং তারা চান যে তিনি এই অঞ্চলে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চুক্তি করুন।