মঙ্গলবার হংকং-এর হাইকোর্ট জাতীয় সুরক্ষা আইন ভাঙার অপরাধে ৪৫ জন গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীদের ১০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। চীন মূলত জাতীয় সুরক্ষা আইন গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন বন্ধের জন্য হংকং-এ চালু করে। আইন বিশেষজ্ঞ বেনি তাই-কে সবচেয়ে বেশিদিনের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারণ, তিনিই এই আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
নতুন আইন চালু করে গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন বন্ধ করে দেয়ার পর এটাই হংকং-এর সবচেয়ে বড় জাতীয় সুরক্ষা মামলা ছিল।
গণতন্ত্রকামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তারা আন্দোলন করে হংকং সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীকে অচল করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। সরকার নিযুক্ত বিচারপতিদের সামনে কিছু আন্দোলনকারী দোষ স্বীকার করে নেন, কিছু আন্দোলনকারীকে দোষী বলে সাব্যস্ত করে আদালত।
অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, যেভাবে গণতন্ত্রকামীদের শাস্তি দেয়া হলো, তাতে তারা খুবই উদ্বিগ্ন। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক গর্ডন এনজি-ও আছেন। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং বলেছেন, যেভাবে এই আইন চালু করা হয়েছে এবং তা প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে অস্ট্রেলিয়ার প্রবল আপত্তি আছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই বিচারিক কার্যক্রমকে ‘রাজনৈতিক মদদপুষ্ট’ বলে অভিহিত করেছে। তারা জানিয়েছে, গণতন্ত্রপন্থিদের মুক্তি দেওয়া উচিত, কারণ তারা আইন মেনেই শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।
চীন ও হংকং সরকার জানিয়েছে, ২০১৯ সালের গণতন্ত্রপন্থি গণবিক্ষোভের পর এ ধরনের আইনও জরুরি ছিল এবং স্থানীয় আইন মেনেই গণতন্ত্রপন্থিদের সাজা দেওয়া হয়েছে