গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ ভিসা চালুর আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ সংসদের ৬৭ জন এমপি ও লর্ডস সদস্য। ইউক্রেনের মতো গাজাবাসীদের পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ‘গাজা ফ্যামিলি স্কিম’ নামে একটি প্রকল্প চালুর অনুরোধ করেছেন তারা।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। অনেকে আত্মীয়দের কাছে যুক্তরাজ্যে আসতে চাইলেও ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় বায়োমেট্রিক জমা দিতে পারছেন না। গাজার আবেদন কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে, রাফা সীমান্তও বন্ধ। ফলে অনেকে মিশরে গিয়ে আটকে পড়েছেন, যেখানে তাদের শিক্ষা বা চিকিৎসার কোনো সুযোগ নেই।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তারা দাবি করেছেন, ইসরায়েল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে, ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং ত্রাণ সংগ্রহে আসা মানুষদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
লেবার এমপি মার্শা ডে করডোভা বলেন, “যেভাবে ইউক্রেনের জন্য পারিবারিক ভিসা স্কিম চালু করা হয়েছিল, গাজার ক্ষেত্রেও এমন একটি স্কিম চালু করা উচিত। এটি সরকারের মানবিক অবস্থান প্রকাশ করবে।”
২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর যুক্তরাজ্য ‘ইউক্রেন ফ্যামিলি স্কিম’ চালু করেছিল। এতে ইউক্রেনীয়রা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিন বছর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে থাকার, পড়াশোনা ও কাজ করার সুযোগ পান।
গাজার জন্য একই ধরনের উদারতা প্রদর্শনের দাবি জানিয়ে চিঠিতে সই করেছেন লেবার পার্টির ৩৫ জন এমপি ও লর্ড, গ্রিন পার্টির ৪ জন এমপি, লিবারেল ডেমোক্র্যাটের টিম ফ্যারন ও লায়লা মোরান, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের কয়েকজন এমপি।
এছাড়াও চিঠিতে সই করেছেন সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন, জন ম্যাকডনেল এবং কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ব্যারোনেস হেলিক।
তারা মনে করেন, গাজার পরিস্থিতি এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে মানবিক সহায়তা হিসেবে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।