Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Thu, Jul 17, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • মতামত
    • সাহিত্য
    • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » ইরানে আশুরা: ধর্ম, সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রীয় বার্তার সেতুবন্ধন
    আন্তর্জাতিক

    ইরানে আশুরা: ধর্ম, সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রীয় বার্তার সেতুবন্ধন

    ফাহিমা আক্তারJuly 5, 2025Updated:July 5, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনে পালিত হয় আশুরা। বিশ্বের সুন্নী মুসলিমরা আশুরাকে রোজা ও ইবাদতের মাধ্যমে উদযাপন করেন। তবে শিয়া মুসলিমরা বিভিন্ন আয়োজনে আশুরা পালন করেন। শিয়াদের আশুরা উদযাপনের মধ্যে তাজিয়া, শোক মিছিল, কারবালার ঘটনাকে স্মরণ করে নিজেদের আঘাত করা উল্লেখযোগ্য।

    আশুরার প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য

    ইসলামের ইতিহাসে আশুরা একটি গভীর শোকের দিন। ১০ মহররম, ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদের সেনাদের হাতে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর নাতি ইমাম হুসাইন (রা.) শহীদ হন। ইসলামি ইতিহাসে এই ঘটনা কেবল একটি হত্যাকাণ্ড নয়, বরং এক প্রতিরোধ, ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান এবং আত্মত্যাগের মহান উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। শিয়ারা বিশ্বাস করেন, ইমাম হুসাইন অন্যায় ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে মাথা নত না করে জীবন উৎসর্গ করেন। এই আত্মত্যাগই আশুরাকে তাদের কাছে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।

    রাষ্ট্রীয় চিত্র ও বাস্তবতা

    শিয়া প্রধান দেশ ইরানে আশুরা উদযাপনে দেখা যায় বৈচিত্র্যপূর্ণ দৃশ্য। ইরানে রাষ্ট্রীয়ভাবে আশুরা পালন করা হয়। তবে রাষ্ট্রীয় আশুরা উদযাপনের চিত্র মূলত একধরনের আদর্শিক এবং রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। রাষ্ট্রীয় চিত্রের বাইরেও বিভিন্ন অঞ্চলে বহু ঐতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যময় রীতি রয়েছে। এর কিছু অবহেলিত, কিছু নিষিদ্ধ, তবে এখনো সেগুলো অনেক ইরানির বিশ্বাস ও সংস্কৃতির অংশ।

    ইরানে আশুরায় কালো পোশাক পরা শোকাহত মানুষের মিছিল এবং শোকের চিত্র দেখা যায়। বিবিসি পারসিয়ানের সংবাদদাতা সিয়াভাশ আর্দালান জানান, এই চিত্র মূলত রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি জোরদার বার্তা প্রদান করে এবং এর মাধ্যমে ধর্মীয় নেতৃত্বের কর্তৃত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে বেসরকারি অনেক অনুষ্ঠানে আশুরা উদযাপনের একেবারে ভিন্ন চিত্র ফুটে ওঠে।

    আশুরার রাজনৈতিক ব্যবহার

    আশুরা ও আশুরার আচার-অনুষ্ঠান শিয়া মুসলিমদের কাছে সম্পূর্ণ আবেগপূর্ণ একটি বিষয়। তাই ইরানে আশুরা উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়, কারণ আশুরাকে রাষ্ট্রের মতাদর্শের প্রেরণার মূল উৎস বলে মনে করা হয়। ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্র গঠনের পর থেকে আশুরার আত্মত্যাগকে একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিরোধ আন্দোলনের রূপ দেওয়া হয়। হুসাইন (রা.)-এর সংগ্রামকে ‘ইসলামি বিপ্লব’-এর অনুপ্রেরণা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যা আজও রাষ্ট্রীয় ভাষণে প্রতিফলিত হয়।

    ইরানে রাষ্ট্রীয়ভাবে আশুরার কিছু অনুষ্ঠানকে সমর্থন ও প্রচার করা হয়, কিছু উপেক্ষা করা হয়, আবার কিছু রীতিনীতি নিষিদ্ধও করা হয়েছে।

    শিয়া ধারণা অনুযায়ী, রাসুল (সা.)-এর নাতি হুসাইন (রা.) ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে আশুরার দিনে ন্যায়ের পক্ষে এক যুদ্ধে জড়ান। তিনি জানতেন যে তিনি ও তার অনুসারীরা শহীদ হবেন, কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন তাদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিতে পারে, সে উদ্দেশ্যেই তিনি যুদ্ধ করেন।

    রাষ্ট্রের নিজস্ব বার্তা

    ইরানি সরকার বর্ণনা অনুযায়ী, আশুরা মূলত প্রতিরোধ ও বীরত্বের প্রতীক। ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি একবার বলেছিলেন, ‘আশুরার শিক্ষা হচ্ছে সংলাপ ও যুক্তির শিক্ষা’।

    কিছু ভিন্নমতাবলম্বী আলেম আশুরাকে সহনশীলতা ও শান্তির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তবে তাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    আশুরার আনুষ্ঠানিক চিত্র

    ইরানের আলেমরা আশুরাকে সরকারের নির্ধারিত গাইডলাইন অনুসরণ করে পালনের কথা বলেন। আশুরার উদযান উপলক্ষে অনেকে কালো পোশাক পরেন, বুকে এবং মাথায় আঘাত করেন, একজন আলেম আবেগঘন ভঙ্গিতে আশুরার গল্প বলেন। এবং অনেক সময় অতিরঞ্জিত গল্প বলেন।

    এভাবে এই আচার-অনুষ্ঠানকে একদিকে আলেমদের নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, অপরদিকে রাষ্ট্রীয় বার্তাও এতে যুক্ত করা যায়।

    ইরান সরকার অনুমোদিত আশুরা অনুষ্ঠানের মধ্যে আরেকটি চিত্র এমন রয়েছে, যেখানে মা-বাবারা তাদের শিশুকে নিয়ে আশুরার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং হুসাইন (রা.)-এর শহীদ শিশুদের স্মরণ করেন। ১০ বছর আগে রাষ্ট্রীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এর সূচনা হয়। বর্তমানে ইরানের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই উদযাপন। এই রীতিকে ইউনেস্কোতে ইরানি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে নিবন্ধনেরও চেষ্টা করা হয়েছে।

    আশুরায় গ্রামীণ ও ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি

    ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈচিত্র্যময় ও ব্যতিক্রমধর্মী পদ্ধতিতে আশুরা পালিত হয়। যেমন—

    • বুশেহর : সমুদ্রের পানিতে নাট্যসামগ্রী ধোয়া।
    • শাহরে কুর্দ : মোমবাতি নিয়ে পাহাড়ে প্রার্থনাযাত্রা।
    • বিজার ও খোরামআবাদ : গোলাপজল মেশানো কাদা মেখে মাতম।
    • আর্দেবিল: পানি ভর্তি পাত্র বহন।
    • খোমেইনি-শাহর : বর্ণিল পোশাকে শিশুরা উৎসবে অংশ নেয়।

    রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব রীতিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ফলে সাধারণ ইরানিদের অনেকে দেশের এই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের বিষয়ে প্রায় জানেই না।

    ধর্মীয় আচারে নিয়ন্ত্রণ ও রূপান্তর

    আশুরা উপলক্ষে কারবালার ঘটনাকে স্মরণ করে নিজেকে আঘাত করে উদযাপনের দৃশ্য দেখা যায়। পূর্বে অনেক আলেম আশুরা পালনের এই রীতি সমর্থন করতেন। তবে বর্তমানে এসব রীতিকে ‘উগ্রতা’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ‘গামে-জানি’ (মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত) নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতাও ফতোয়া জারি করে একে হারাম ঘোষণা করেছেন।

    আশুরা ভেবে আগে বিভিন্ন আবেগঘন, কল্প কাহিনীর প্রচলিত ছিল। বর্তমানে আলেমদের মাধ্যমে এসব ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হয় এবং সত্য ঘটনা প্রচলনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়।

    ধর্মীয় অনুভূতি নাকি রাষ্ট্রীয় কৌশল?

    ইরানে আশুরার উদযাপন ধর্মীয় আবেগের প্রকাশমাত্র নয়। এটি একদিকে একটি প্রগাঢ় শোকানুষ্ঠান, আবার অপরদিকে এটি রাষ্ট্রীয় আদর্শ ও রাজনৈতিক কর্তৃত্বের একটি প্রকাশভঙ্গি। ঐতিহ্য, ইতিহাস ও রাষ্ট্রীয় বার্তার মিশেলে ইরানে আশুরা যেন এক বহুমাত্রিক বাস্তবতা।

    রাষ্ট্র অনুমোদিত উদযাপন এবং প্রান্তিক অঞ্চলের রীতিনীতির ব্যবধান সমাজে একটি দ্বৈত সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। ফলে আজকের ইরানে আশুরা যেমন একটি ঐক্যের প্রতীক, তেমনি এটি একটি আদর্শিক দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক অভিপ্রায়েরও প্রতিফলন।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    আন্তর্জাতিক

    ইরাকের শপিংমলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫০

    July 17, 2025
    আন্তর্জাতিক

    বাংলা ইস্যুতে বিজেপির সমালোচনায় মমতা

    July 17, 2025
    আন্তর্জাতিক

    সৌদি আরবে মুদি দোকানে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ

    July 17, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা কি কেটে উঠা সম্ভব?

    অর্থনীতি May 29, 2025

    বাজেটের স্বাধীনতা: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অন্যতম নিয়ামক

    আইন আদালত June 1, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2024 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.