গাজায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুই বছরব্যাপী ভয়াবহ সামরিক অভিযান ইসরায়েলের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মার্কো রুবিও।
রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, “আমরা রাজি হই বা না হই, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও ইসরায়েলের প্রতি এক ধরনের আক্রমণাত্মক মনোভাব তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বৈশ্বিকভাবে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আমাদের প্রেসিডেন্ট বিষয়টিতে সরাসরি মনোযোগ দিচ্ছেন। ইসরায়েলকে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, তারা স্বীকার করুক বা না করুক, দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের পরিণতিতে তাদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—যা উপেক্ষা করা অসম্ভব।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জন জিম্মি হন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় অভিযান শুরু করে, যা এখনো চলছে। এ পর্যন্ত এই অভিযানে ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
চলমান যুদ্ধ বন্ধে গত সপ্তাহে ২০ দফা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় বসবেন ইসরায়েল, হামাস এবং মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ—কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।
রুবিও সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইসরায়েল অবশেষে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো মেনে নেবে। “ইসরায়েলিরা বুঝতে পারবে যে সংঘাত চলতে থাকলে জিম্মিদের মুক্তি অসম্ভব। যুদ্ধ চলমান অবস্থায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না, তাই অভিযান থামানোই একমাত্র পথ” বলেন তিনি।