২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় জিম্মি হওয়া ইসরায়েলিদের মধ্যে ২০ জনকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তাদেরকে রেড ক্রসের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ তথ্য সোমবার এএফপির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
মুক্তি পেয়ে তেল আবিবের ‘হোস্টেজ স্কোয়ারে’ হাজার হাজার মানুষ আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েন। জিম্মিদের মুক্তি দুটি দফায় সম্পন্ন হয়েছে; প্রথম দফায় সাত জন এবং দ্বিতীয় দফায় ১৩ জন। দ্বিতীয় দলের জিম্মিদের দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে রেড ক্রসের বাসে তুলে তেল আবিবের উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়েছে।
এই মুক্তি প্রক্রিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফার শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বাকি ৪৭ জিম্মির মরদেহও ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এই প্রক্রিয়া আজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর সঙ্গে ২০১৪ সালে গাজায় নিহত এক ইসরায়েলি সেনার মরদেহও হামাস হস্তান্তর করবে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে আটক হাজারো ফিলিস্তিনি এখনও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন। মুক্তি পেতে চলা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ২৫০ জনকে ইসরায়েলিরা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করেছিল। এদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ‘ইসরায়েলি নাগরিক’ হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আরও ১,৭০০ জনকে গাজার যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আটক করা হয়েছিল। হামাস দাবি করেছে, মুক্তির তালিকায় সাত শীর্ষ ফিলিস্তিনি নেতাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ বিষয়ে চলতি আলোচনার তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে গাজার স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিশরের শার্ম এল-শেখে গাজার শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে রওনা হয়েছেন। তবে সফরের পথে ইসরায়েলে বিরতি নিয়ে তিনি সেখানে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তব্য রাখবেন।
গাজার শান্তি সম্মেলনে বিশ্বনেতারা অংশ নেবেন, যেখানে গাজার ভবিষ্যৎ ও টেকসই শান্তি স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও এতে যোগ দেবেন। তবে ইসরায়েল ও হামাস সরাসরি অংশ না নেওয়ায় এই উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

