পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় অনেক যাত্রী জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার রাতে ইথিওপিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শিনিলে শহরের কাছে চলন্ত একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে থেমে থাকা আরেকটি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে সংঘর্ষের তীব্রতায় একাধিক বগি উল্টে যায় এবং কয়েকটি সম্পূর্ণভাবে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পড়ে।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ডায়র টিভি জানিয়েছে, দুর্ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে উদ্ধারকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায়।
দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত নয়। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, আহত হয়েছেন ২৭ থেকে ২৯ জন। প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, রেললাইনজুড়ে ছড়িয়ে আছে ভাঙা বগির ধ্বংসাবশেষ।
শিনিলে জেলার প্রশাসক জিবরিল ওমর বলেন, “ট্রেনের পুরোনো অবস্থা এবং অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য বোঝাইয়ের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনটি ভার বহনের উপযোগী ছিল না।”
তিনি আরো জানান, ট্রেনটিতে যাত্রীদের পাশাপাশি চাল, পাস্তা ও ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করা হচ্ছিল। বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন তরুণ এবং তারা জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি দেভেলে শহর থেকে দিরে দাওয়া শহরের দিকে যাচ্ছিল বলে জানান তিনি।
সোমালি আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মদ আদম বলেন, “নিহত ও আহতদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইথিওপিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা খুবই বিরল। আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশটির সোমালি অঞ্চলটি অন্যতম বৃহত্তম প্রশাসনিক এলাকা, যেখানে প্রধানত সোমালি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে।