আগামী সপ্তাহে এশিয়ার তিন দেশ—মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাঁর বহুল আলোচিত বৈঠক চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। বুধবার (২২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প জানিয়েছেন—এ সফরের মূল লক্ষ্য হবে এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, জ্বালানি বাজার ও চলমান বৈশ্বিক সংকট নিয়ে সরাসরি আলোচনা। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠককে ‘অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি।
ট্রাম্প বলেন, “আমি কোনো ব্যর্থ বৈঠক চাই না। কূটনৈতিকভাবে অগ্রগতি না হওয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকটি বাতিল করেছি। এখন সময় এসেছে নতুন দিক খোঁজার।”
দক্ষিণ কোরিয়ায় শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর আসন্ন বৈঠককে সামনে রেখে ট্রাম্প বলেন, “আমরা একসঙ্গে অনেক প্রশ্ন, সন্দেহ এবং সম্ভাবনার বিষয়ে কথা বলব। জ্বালানি ও তেল নিয়ে আলোচনা হবে—বিশেষ করে কীভাবে রাশিয়াকে শান্তি আলোচনায় আনতে চীন ভূমিকা রাখতে পারে।”
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট শি রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারেন। তিনি একজন শক্তিশালী নেতা, যাঁর কথা অনেকেই গুরুত্ব দেয়। আমার বিশ্বাস, তিনিই পুতিনকে যুদ্ধবিরতির পথে আনতে পারেন।”
ট্রাম্পের ভাষায়, “আমি যা চাই তা হলো—রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হোক, সেটা জ্বালানি, তেল বা কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই হোক। আমি জানি, শি-ও যুদ্ধের অবসান দেখতে চান।”
প্রসঙ্গত, এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) সম্মেলন আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ সম্মেলনের ফাঁকেই অনুষ্ঠিত হবে ট্রাম্প-শি বৈঠক, যা বর্তমান বৈশ্বিক রাজনীতিতে নতুন এক মোড় আনতে পারে।

