যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিবীয় সাগরে পৌঁছেছে। ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি ঘিরে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যে এই মোতায়েন করা হয়েছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের মাদক চোরাচালান ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান জোরদারের অংশ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর দক্ষিণ কমান্ড (সাউথকম) রোববার জানায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের নির্দেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগকে সমর্থন করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত অপরাধী নেটওয়ার্কগুলোকে ধ্বংস করা।
ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডে ৪ হাজারের বেশি নাবিক এবং ডজনখানেক যুদ্ধবিমান বহন করা হয়। রণতরীটি ক্যারিবীয় অঞ্চলে আইওও জিমা অ্যামফিবিয়াস রেডি গ্রুপ এবং এক মেরিন এক্সপেডিশনারি ইউনিটসহ অন্যান্য মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবে। এসব ইউনিট নতুন গঠিত জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স সাউদার্ন স্পিয়ার-এর অধীনে কাজ করে এবং অপরাধী নেটওয়ার্ক ধ্বংস করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
জেরাল্ড আর ফোর্ডের সঙ্গে রয়েছে এর সম্পূর্ণ স্ট্রাইক গ্রুপ, যার মধ্যে ক্যারিয়ার এয়ার উইং এইটের নয়টি স্কোয়াড্রন, আর্লি বার্ক গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস বেইনব্রিজ ও ইউএসএস মেহান এবং আকাশ প্রতিরক্ষা গাইডেড জাহাজ ইউএসএস উইনস্টন এস চার্চিল অন্তর্ভুক্ত।
এদিকে, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্র আরো একটি নৌযানে হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে তিনজন সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। হেগসেথের নির্দেশে সাউদার্ন স্পিয়ার টাস্ক ফোর্স এই নৌযানটি, যা অবৈধ মাদক পরিবহনে জড়িত ছিল, ধ্বংস করেছে।
ক্যারিবীয় সাগরে রণতরী মোতায়েনকে ভেনেজুয়েলা ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ভেনেজুয়েলার একটি স্পিডবোটে হামলার মাধ্যমে এই মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয় এবং অক্টোবরের শেষ দিকে তা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরেও বিস্তৃত হয়। অভিযানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২১টি হামলায় ৮২ জন নিহত হয়েছে।

