যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি সাউদার্ন কমান্ড (সাউথকম) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের নির্দেশে সোমবার তিনটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকা জাহাজে ‘মারাত্মক কাইনেটিক স্ট্রাইক’ চালানো হয়। প্রথম জাহাজে ৩ জন, দ্বিতীয়টিতে ২ জন এবং তৃতীয়টিতে ৩ জন নিহত হয়েছে। সাউথকম দাবি করেছে, নিহতরা মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত, তবে এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের হামলা যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সেপ্টেম্বর থেকে ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন।
মার্কিন কংগ্রেসের কিছু আইনপ্রণেতাও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে সেপ্টেম্বরের প্রথম হামলার পর বেঁচে যাওয়া দুজনের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলার নির্দেশ তিনি ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছেন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
পেন্টাগন দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ মাদক পাচার রোধের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। ক্যারিবীয় সাগর ও মেক্সিকো উপসাগরে যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে।
হামলার জবাবে ভেনেজুয়েলা তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ভেনেজুয়েলার তেল ও গ্যাস সম্পদ লুটে নেওয়ার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এদিকে, ভেনেজুয়েলার কাছে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো যুক্তরাষ্ট্রকে বিমানবন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহে মার্কিন সামরিক বিমানগুলো লজিস্টিক কার্যক্রম, সরবরাহ পুনঃভরাট এবং সেনা রোটেশনের জন্য বিমানবন্দর ব্যবহার করবে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে। অন্যদিকে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী কামলা প্রসাদ-বিসেসার মন্তব্য করেছেন, তিনি মাদক পাচারকারীদের ‘টুকরো টুকরো’ হতে দেখতে বেশি আগ্রহী, নাগরিকদের ক্ষতি নয়।

