ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাগচি দামেস্কে এক দিনের সফর শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইরান গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। তিনি ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেন, যেকোনো ইসরায়েলি আক্রমণের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া হবে আনুপাতিক এবং প্রয়োজনে আরো বৃহত্তর শক্তি প্রয়োগ করা হবে। সংবাদ সংস্থা এএপি জানিয়েছে, আরাগচি এদিন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি জালালির সাথে বৈঠক করেন। আলোচনায় লেবাননের বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক কার্যক্রমের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
আরাগচি তার বক্তব্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধ’ আন্দোলনের প্রতি ইরানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা লেবাননের শরণার্থীদের সহায়তায় সিরিয়ার সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব। দুটি বিষয় এখন আমাদের এজেন্ডায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: লেবাননের শরণার্থীদের প্রয়োজন পূরণ এবং গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা।” তিনি জানান, ইরান এরই মধ্যে লেবাননের শরণার্থীদের জন্য সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে এবং শিগগিরই আরও সাহায্য পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি হামলার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইসরায়েল যদি কোনো হামলা চালায়, আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে আনুপাতিক এবং প্রয়োজনে আরও শক্তিশালী। আমরা ইতোমধ্যে অতীতে আমাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছি এবং তাদের আবারও আমাদের সংকল্প পরীক্ষা করতে স্বাগত জানাই।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তবে নির্দিষ্ট বিবরণ দিতে তিনি বিরত থাকেন। আরাগচি বলেন, যেকোনো যুদ্ধবিরতির শর্ত অবশ্যই ফিলিস্তিনি ও লেবানিজ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
সিরিয়ার সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, আরাগচি দুই দেশের মধ্যকার দৃঢ় কৌশলগত অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, “সিরিয়ার প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।”
সফরকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়ার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সিরিয়ায় লেবাননের শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।