‘কখনো আসেনি’ ১৯৬১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি সামাজিক বাংলা চলচ্চিত্র।১ রচনা, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন জহির রায়হান। পরিচালক হিসেবে এটিই জহির রায়হানের প্রথম চলচ্চিত্র।
কাহিনীসারাংশ
এই ছবিটিতে একজন ব্যর্থ ব্যক্তির জীবনে ঘটে যাওয়া করুন কিছু কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এখানে নায়ক শওকত তার দারিদ্রতার জন্য তার আপন দুই বোনকে ছেড়ে চলে যান। সেই দুই বোন ক্ষুধার্ত অবস্থায় মারা যায়। অন্য দিকে একজন সুন্দরী নারী (মরিয়ম) সুন্দর হওয়ায় তাকে পাথরের মত করে রাখতে চেয়েছিলেন এক যাদুঘরের মালিক (সুলতান)। নায়িকা এই মূর্তি হিসেবে যাদুঘরটিতে দাঁড়িয়ে থাকতো। প্রকৃতপক্ষে একজন মানুষের দ্বারা এভাবে মূর্তির মত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব। শওকতের বোন একদিন নায়িকাদের বাসায় যায় এভাবে একদিন নায়িকাও শওকতের বাসায় যায়, এভাবেই নায়কের সঙ্গে নায়িকার দেখা, পরবর্তীতে নায়িকা নায়কের গ্রামে যায় এবং সেই সাথে গ্রামে যাওয়া সবকিছুই নায়িকার ভালো লাগে। তাই নায়িকা একসময় নায়কের প্রেমে পড়ে যায়।
কিন্তু নায়ক টাকার অভাবে তার প্রেমে সফলতা আনতে পারেন না। এর ফলাফল হিসেবে নায়ক তার দুই বোনকে তাদের মত পথ বেছে নিতে বলে। দুই বোনের কাছে কোন টাকা পয়সা না থাকায় অভাবের জন্য তারা না খেয়ে এক সময় মারা যায়। শেষ পর্যায়ে এ দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে নায়ক নিজে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। তাই সেই মূর্তির অভিনয় করে জাদুঘরে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে মুক্ত করার জন্য আর কেউ কখনো আসেনি।
পরবর্তীতে নায়কের মত অনেকেই এভাবে সেই বাসা ভাড়া নেয় (নায়ক যে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো), সেখানে বসবাস করে এবং এক সময় চলে যায়। কিন্তু কেউ তার (নায়িকার) মনের দুঃখ বুঝতে পারেনা এবং তাকে সেই বন্দী জাদুঘর থেকে মুক্ত করে না।