Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Fri, Jun 20, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • মতামত
    • সাহিত্য
    • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » কান্ট্রি ডিরেক্টর পদ ছেড়ে দিয়ে সফল উদ্যোক্তা ডলি
    মতামত

    কান্ট্রি ডিরেক্টর পদ ছেড়ে দিয়ে সফল উদ্যোক্তা ডলি

    এফ. আর. ইমরানNovember 11, 2024Updated:March 19, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    ছবি : প্রথম আলো
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    বিশ্বখ্যাত আমেরিকান কোম্পানি এমজিএফ সোর্সিংয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর পদ ছেড়ে দিয়ে বায়িং হাউসের ব্যবসা শুরু করেন ক্য চিন ঠে (ডলি)। ডলি ইতিমধ্যে সফল উদ্যোক্তার স্বীকৃতিও পেয়েছেন। গত মাসে ডিএইচএল-ডেইলি স্টারের বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। উদ্যোক্তার বাইরে ডলি একজন দৌড়বিদ। ম্যারাথনে অংশ নেন নিয়মিত। লেখালেখিও করেন তিনি।

    ২০১৯ সালের নভেম্বর কয়েকজন কর্মীও নিয়োগ দেন তিনি। পরবর্তীতে অনেক দেশে ব্যবসার আশায় লাগেজ নিয়ে ইউরোপ-আমেরিকা চষে বেড়ান। আশা ছিল, ক্রয়াদেশ মিলবে, ব্যবসার চাকা ঘুরবে। কিন্তু তার সকল স্বপ্ন মাটি করে দিল করোনা ভাইরাস।

    ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রকোপ বাড়লে কর্মীদের বাড়িতে পাঠিয়ে অফিস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন ডলি। জমানো অর্থে কর্মীদের বেতন আর অফিস ভাড়া দিলেন। পুনরায় সাড়ে তিন মাস পর অফিস খুললেন। কিন্তু মনোবল হারাননি। নিজেকে নিজেই সাহস দিয়েছেন। একপর্যায়ে সত্যি সত্যি বড় একটা ক্রয়াদেশ পেলেন। এরপরের গল্প শুধুই এগিয়ে যাওয়া।

    কক্সবাজারের চকরিয়ার রাখাইন সম্প্রদায়ের মেয়ে ডলি উদ্যোক্তা হওয়ার আগে দুই দশকে বিশ্বখ্যাত কয়েকটি ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন পড়াশোনা। পরিবার ছেড়ে বিদেশেও চাকরি করেছেন। গড়ে তুলেছেন নিজেকে সেভাবেই।

    তার প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংখ্যা এখন ১২। তিনি চিন্তা করছেন ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও। উদ্যোক্তা ডলির বায়িং হাউস-ক্লথ ‘আর’ আস লিমিটেড বর্তমানে ইউরোপের ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে আসছে।

    চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় সেন্ট স্কলাস্টিকা গার্লস হাইস্কুলে ডলিকে ভর্তি করা হয়। সবই ঠিকঠাক চলছিল। আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে ডলির বাবার ব্যবসা খারাপ হতে থাকে। একপর্যায়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন মং খেজারি। আর তিনি ঢাকায় এসে চাকরি নিলেন।

    গ্রামে ফিরে ডলি ভর্তি হন চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়ন হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে। এখান থেকেই এসএসসি পরীক্ষা দিলেন। উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে। হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করলেন। এইচএসসি পাসের পর এলেন ঢাকায়। দ্রুত পড়ালেখা শেষ করে পরিবারের হাল ধরতে ডলিকে পরামর্শ দিলেন তাঁর বাবা। তখন তিনি অসুস্থ। তাই অনার্স না করে তেজগাঁও কলেজে বিকমে ভর্তি হন ডলি।

    বিকম শেষ করে ১৯৯৭ সালে বিশ্বখ্যাত সোর্সিং কোম্পানি লিঅ্যান্ডফাংয়ে চাকরি নেন তিনি। ডলি বলেন, ‘আমাকে কোম্পানির কান্ট্রি ম্যানেজারের সেক্রেটারি ও অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্চেন্ডাইজার পদের জন্য অফার দেওয়া হয়। সেক্রেটারি পদে ১৫ হাজার, আর মার্চেন্ডাইজার পদের বেতন ছিল ৮ হাজার টাকা। ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি মার্চেন্ডাইজার পদেই ইন্টারভিউ দিলাম। ইংরেজিতে মোটামুটি ভালো হওয়ায় চাকরির সুযোগ পেয়ে গেলাম। কোম্পানি থেকে বলা হয়, ছয় মাসের মধ্যে যোগ্যতা দেখাতে না পারলে বাদ দেওয়া হবে। আমি চ্যালেঞ্জটা নিলাম।’

    তারপর দ্রুতই নিজের অবস্থান পোক্ত করলেন ডলি। পদোন্নতি হতে লাগল। এভাবে টানা ১৩ বছর কাজ করলেন। তারপর তিনি লিঅ্যান্ডফাংয়ের সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার ম্যানেজার হয়ে যান। চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে গেছেন। প্রথমে এলএলবি করেছেন। এরপর ঢাকা কলেজ থেকে এমকম এবং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে এমবিএ করেন।

    লিঅ্যান্ডফাংয়ে কাজ শুরুর দুই বছরের মাথায় বাবাকে হারান ডলি। তারপর একসময় বড় বোনও ব্রেনস্ট্রোকে মারা যান। তাতে পরিবারের পুরো দায়িত্ব এসে পড়ল ডলি ও তাঁর ভাইয়ের ওপর। তাঁরা দুজন মিলে ছোট তিন ভাইবোনের পড়াশোনা চালিয়ে নিলেন।

    ডলি বলেন, ‘লিঅ্যান্ডফাংয়ে চাকরি করার সময় আমি ইউরোপের ব্র্যান্ড এমএস মোডের ব্যবসা দেখতাম। পিভিএইচে কাজ শুরুর কয়েক মাস পর এমএস মোড থেকে আমাকে কল করল। তারা ঢাকায় অফিস করতে চায়। আমাকে কান্ট্রি হেড হিসেবে যোগ দেওয়ার অফার করে। ২০১৩ সালে এমএস মোডের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করি।’

    একসময় মার্কিন প্রতিষ্ঠান এমজিএফ সোর্সিং থেকে প্রস্তাব পেলেন। পদ ডিভিশনাল ম্যানেজার। কাজ করতে হবে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায়। ২০১৫ জাকার্তায় এমজিএফ সোর্সিংয়ে যোগ দিলেন ডলি। জাকার্তায় এক্সপ্রেস নামের একটি ব্র্যান্ডের ব্যবসা দেখভাল করতেন ডলি। একপর্যায়ে তিনি দেখলেন এক্সপ্রেস যে দামে ডেনিম প্যান্ট ও শার্ট কিনছে, তার চেয়ে অনেক কমে বাংলাদেশে উৎপাদন সম্ভব। ভেবেচিন্তে এক্সপ্রেসের ক্রয়াদেশ বাংলাদেশ স্থানান্তর করতে কোম্পানিকে অফার দিলেন। এমজিএফও রাজি হয়ে গেল। জাকার্তায় দেড় বছর কাজ করে এমজিএফ সোর্সিংয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে ঢাকায় চলে এলেন ডলি। সঙ্গে নিয়ে এলেন দুই কোটি ডলারের ব্যবসা। ২০১৯ সালের মে মাসে চাকরি ছেড়ে দিলেন। শুরু করলেন বায়িং হাউসের ব্যবসা। কিন্তু শুরুতেই তাতে বাদ সাধল করোনা। কঠিন বিপদে পড়লেন ডলি। ক্রয়াদেশ নেই। গাঁটের পয়সায় কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে। এরপর ২০২১ সালের মার্চে এসে প্রথম বড় ক্রয়াদেশ পেলেন।

    ঘটনা সম্পর্কে ডলি বললেন, ‘আমার মা মারা গেছেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করতে মাকে নিয়ে বাড়িতে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় ইউরোপ থেকে একটা কল এল। আমার পরিচিত এক বান্ধবী নতুন কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছে। সে বলল, তারা পোশাক সোর্সিংয়ে সমস্যায় পড়ছে। আমি সাহায্য করতে পারব কি না। তার কথা শেষ হলে আমি বললাম, আমার মা মারা গেছেন। এক সপ্তাহ পর আমি তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করব।’ ‘ইউরোপের ব্র্যান্ডটির কাছ থেকে আমরা এক লাখ পিস লেগিংস তৈরির কাজ পেয়েছিলাম। সেটিই আমাদের প্রথম বড় ক্রয়াদেশ। এরপর আমাদের আর সমস্যা হয়নি।’

    বায়িং হাউসের ব্যবসায় আগ্রহীদের জন্য পরামর্শ কী দিবেন, জবাবে ডলি বলেন, নিজের কাজটা ভালোভাবে জানতে হবে। দক্ষতা থাকতে হবে। আর কোনো জায়গা থেকে সহায়তা মিলবে না, এটা মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে।

    বায়িং হাউস মূলত বিদেশি ব্র্যান্ড ও দেশীয় কারখানার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কাজ করে। দেশে এক হাজারের মতো বায়িং হাউস আছে। এই খাতে নতুনদের ব্যবসার সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে ডলি বলেন, দেশে আড়াই হাজারের মতো পোশাক কারখানা আছে। তাদের মধ্যে ৩০০-৪০০ কারখানার মার্কেটিং টিম আছে। বাকিদের কিন্তু নেই। বায়িং হাউসগুলোই তাদের জন্য ব্যবসা নিয়ে আসে। ফলে বায়িং হাউসের ব্যবসার সুযোগ আছে।

    আলাপের শেষ পর্যায়ে ডলির কাছে প্রশ্ন ছিল- চাকরি না ব্যবসা, কোনটা ভালো। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ব্যবসা। কারণ, স্বাধীনতা আছে। আবার নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগানোর সুযোগও রয়েছে।’
    ব্যবসার জন্য আগ্রহীদের অবশ্যই ব্যবসা করা উচিত। এতে উদ্দ্যোক্তাও বাড়বে পাশাপাশি অন্যদের কর্মসংস্থানও গড়ে উঠবে। সোর্স : প্রথম আলো

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    মতামত

    ইরাকি অভিজ্ঞতা থেকেও শিক্ষা নেয়নি ইসরায়েল

    June 19, 2025
    মতামত

    গোপন মদদ, প্রকাশ্য ধ্বংসযজ্ঞ: ইসরায়েল নামক এক রাষ্ট্রীয় ট্র্যাজেডি

    June 15, 2025
    মতামত

    ভ্যাকসিনের অপূরণীয় ক্ষতি করেছেন কেনেডি

    June 15, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা কি কেটে উঠা সম্ভব?

    অর্থনীতি May 29, 2025

    বাজেটের স্বাধীনতা: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অন্যতম নিয়ামক

    আইন আদালত June 1, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2024 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.