দেশের পুঁজিবাজারে আবারো টানা দরপতন এবং লেনদেনের ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে। পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমতে শুরু করেছে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায়, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজারে অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সকল মূল্যসূচক নিম্নমুখী হয়েছে। এদিন বাজারে ১৭ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেনের ঘটনা ঘটে। যার ফলে পুঁজিবাজারে টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতনের মধ্যে রয়েছে।
টানা চার কার্যদিবস দরপতনের পর, মঙ্গলবার প্রথমে বাজারে কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ছিল এবং সূচকও ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে বাজারের পরিস্থিতি বদলে যায়। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমানোর তালিকায় চলে আসে এবং লেনদেনের সময় যত গড়াতে থাকে, দরপতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। এর ফলে, অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায় এবং সবকটি মূল্যসূচক নিম্নমুখী হয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনশেষে ডিএসইতে ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, বিপরীতে দাম কমেছে ২৬৭টির। ৬৪টি শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। এর ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট কমে ৫১৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১১৫৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১৮৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এছাড়া লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। গতদিনে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। যা আগের দিনের ৩৮১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার তুলনায় ৪৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা কম। ৯ ফেব্রুয়ারির পর এটি ছিল ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেনের পরিমাণ। এই লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। যা ১৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ার। যার লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাইনপুকুর সিরামিক। যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৮২ পয়েন্ট কমেছে। বাজারে ২২৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫১টির দাম বেড়েছে। ১৪৯টির দাম কমেছে এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে এদিন ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন ছিল ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

