আগামী ৯ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টেক এক্সপো। এটি দেশের অন্যতম বড় প্রযুক্তি প্রদর্শনী, যেখানে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ভবিষ্যতের প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে সরাসরি অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা।
এই বছরের প্রদর্শনীতে প্রায় ২৫০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। অংশগ্রহণকারীরা তাদের সর্বশেষ উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে হাজির হবে; পাশাপাশি থাকবে বিশেষ মূল্যছাড় ও কুপন অফার। আগ্রহী ক্রেতারা প্রদর্শনী থেকে সাশ্রয়ী দামে পণ্য কিনতে পারবেন।
প্রদর্শনীতে থাকবে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জোন। গেমিং জোন, ভিআর জোন এবং ফাইভজি এক্সপেরিয়েন্স জোন থেকে শুরু করে থাকবে মেডটেক, ফিনটেক এবং ই-কমার্সের মতো বিভিন্ন অত্যাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি। দর্শকরা এখান থেকে সরাসরি নতুন প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন এবং লাইভ ডেমোতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এসব জোনে অংশগ্রহণকারী প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নিয়ে মতামত ও বিশ্লেষণ তুলে ধরবেন।
প্রদর্শনীর আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হলো বিভিন্ন সেমিনার এবং রাউন্ড টেবিল আলোচনার আয়োজন। এসব সেমিনারে খ্যাতনামা বক্তারা আধুনিক প্রযুক্তির নানা দিক নিয়ে আলোচনা করবেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।
উদ্যোক্তাদের আশা, প্রদর্শনীতে স্টার্টআপ, প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি, বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নতুন আইডিয়া ও ভবিষ্যতের প্রযুক্তির উপর আলোচনা হতে পারে, যা দেশের প্রযুক্তি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়াতে এবং প্রযুক্তি খাতের মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং সম্ভাব্য ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হবে। এটি প্রযুক্তি খাতের নতুন দিগন্ত উন্মোচন এবং নতুন অংশীদারিত্ব গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যে বিশেষ অফার ও মূল্যছাড়।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ এজের সিওও আবদুল্লাহ আল মামুন মনে করেন, “এ ধরনের ইভেন্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে নতুন সুযোগ তৈরি করবে। এ আয়োজনটি শুধু প্রদর্শনীর জন্য নয়; বরং উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং অগ্রগতির মিলনমেলা হিসেবে সবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হবে।”
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টেক এক্সপো তাই কেবল প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য নয় বরং উদ্ভাবনী চিন্তার ধারক ও প্রযুক্তি ব্যবসায় আগ্রহী সবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।