টেক্সাসের ব্রাউনসভিলের বোকা চিকা লঞ্চপ্যাড থেকে স্পেসএক্সের ষষ্ঠ স্টারশিপ রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়েছে। মহাকাশ গবেষণায় আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত এই উৎক্ষেপণের সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির বরাতে জানা যায়, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে স্টারশিপ রকেটের উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করেন ট্রাম্প। তার সঙ্গে ছিলেন ইলন মাস্ক, যিনি মহাকাশ গবেষণার বেসরকারি খাতকে বিপ্লবী এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। মাস্কের দাবি, এই উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে এবং এটি মহাকাশ গবেষণার ভবিষ্যৎকে আরও শক্তিশালী করেছে।
স্পেসএক্স জানায়, স্টারশিপ রকেটটি মহাকাশে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করবে এবং তারপর ভারত মহাসাগরে অবতরণ করবে। যদিও রকেটে কোনো নভোচারী ছিল না, পরীক্ষার অংশ হিসেবে একটি কলা সংযুক্ত করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তারা ভারসাম্য ও নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে এসে রকেটটিকে পুনরায় লঞ্চপ্যাডে অবতরণ করার পরিকল্পনা ছিল। তবে কারিগরি কিছু জটিলতার কারণে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চম দফার পরীক্ষায় রকেটটি প্রথমবার লঞ্চপ্যাডে সফলভাবে অবতরণ করেছিল।
নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মাস্কের এই উপস্থিতি ছিল আলোচিত। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণায় ইলন মাস্কের অর্থনৈতিক সহায়তার বিষয়টি এখনো আলোচনায় রয়েছে। মাস্কের এই উদার সহযোগিতার প্রতিদান হিসেবে ট্রাম্প তার প্রশাসনে মাস্ককে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি নতুন গঠিত ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’-এর প্রধান হিসেবে মাস্ককে নিয়োগ দিয়েছেন।
ট্রাম্পের ভাষায়, “ইলন একটি বিস্ময়কর উদ্ভাবনী মনন। তার মতো দক্ষ ও সৃজনশীল ব্যক্তিকে আমাদের প্রশাসনের অংশ করতে পেরে আমি গর্বিত।” মাস্কও এক বিবৃতিতে জানান, “আমাদের লক্ষ্য শুধু মহাকাশ নয়, পৃথিবীতেও প্রযুক্তি এবং দক্ষতার নতুন মাইলফলক স্থাপন করা।”
এই সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে ইলন মাস্ক যে অনন্য ভূমিকা পালন করছেন, তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের অংশীদারিত্ব এই যাত্রাকে আরও গতিশীল করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।