নির্বাচনের সময় সাপেক্ষে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘পলিসি ডিসিশন’। নির্বাচন কখন হবে এটার সময় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঠিক করা হবে। আজ শনিবার নির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যায় আইন উপদেষ্টা বলে, ‘সম্প্রতি একটি টিভির শো’তে আমি বলেছি নির্বাচন হয়তো আগামী বছরের মধ্যে হতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। সরকারের কথা থেকে সবাই বুঝবেন, যে নির্বাচনের জন্য সংস্কার ও রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলা হয়। এগুলোই সেই ফ্যাক্টর।’
চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের পত্রিকা’ অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা গত বৃহস্পতিবার রাতে বলেছিল, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করাটা সম্ভব হতে পারে। তবে এতে অনেকগুলো ‘ফ্যাক্টর’ আছে বলে তিনি মনে করেন। এটি তাঁর প্রাথমিক অনুমান বলেও তিনি জানান।
আজ (১৯ আক্টোবর) তার দেওয়া ব্যাখ্যায় আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি একটি টিভি আলোচনায় আমি বলেছি নির্বাচন হয়তো আগামী বছরের মধ্যে সম্ভব হতে পারে তবে এ ক্ষেত্রে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। সেখানে এসব ফ্যাক্টর পুরোপুরি ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকারের কথা থেকে সবাই বুঝবেন যে নির্বাচনের জন্য সংস্কার ও রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলা হয়। এগুলোই সেই ফ্যাক্টর।’
এ উপদেষ্টা বলেন, ‘সংস্কারের কথা আমিও অনুষ্ঠানে বলেছি। আরও কিছু ফ্যাক্টর আমি অনুষ্ঠানটিতে ব্যাখ্যা করেছি যেমন সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ইত্যাদি। এসব ফ্যাক্টর ঠিক থাকলে নির্বাচন হয়তো হতে পারে আগামী বছর। বলেছি এইটাও প্রাথমিক অনুমান।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, এই শর্তভিত্তিক ধারণা ও অনুমানকে কিছু গণমাধ্যম নির্বাচনের সময় ঘোষণা হিসেবে দেখাচ্ছে। বিনয়ের সঙ্গে তিনি বলছেন, এটা এটা সঠিক নয়। যখন নির্বাচন হবে তখন প্রতিটা গণমাধ্যম জানতেই পারবে। পূর্বাভাস ছাড়া নিউজ করে লাভ হবে না।