গতকাল সোমবার রাতে ঢাকার সাভারে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির পাশ থেকে এক নারীর চার টুকরো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মর্মান্তিক অবস্থায় লাশটি পড়েছিল বলে জানা যায়। ঘটনাটিকে ঘিরে ঐলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয়রা লাশের টুকরোগুলো দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই লাশের টুকরোগুলো উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ওই নারীর স্বামীকে আটক করেছে। কিন্তু আপাতত নিহত নারী ও তাঁর স্বামীর পরিচয় জানানো হয়নি।
সাভার থানার ভারতপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, ‘ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির পাশে দত্তপাড়া বব মারলি রেস্তোরাঁর পেছনে খোলা জায়গায় এক নারীর চার টুকরো লাশ পড়ে ছিল।
‘লাশ উদ্ধারের পর ওই নারীর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে’ বলে জানান, ওসি মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া।
মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘিরে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সচেতনতায় “আলোর পৃথিবী” নামের এক ফেসবুকপোষ্টে সতর্কবার্তায় লিখেন- “আসলে কোনো মেয়ের’ই প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাহিরে থাকা বা কারো সাথে ঘুরে বেড়ানো উচিত না। যদি এতোটাই বাহিরে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে তবে অবশ্যই সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে। ক্লাস শেষ করেই সন্ধ্যা কিংবা রাত অব্দী ঘুরে বেড়ানো’কে কয়েকজন মামুলি বিষয় ভাবে অথচ তারা এখনো অবগত নয় যে, দেশে “নিরাপত্তার অভাব”। ছেলে হোক কিংবা মেয়ে আমরা বাসা থেকে বের হওয়ার আগে মাথায় রাখা উচিত কার সাথে আড্ডা দিচ্ছি, কার সাথে কোথায় যাাচ্ছি? কারণ আপনি আমি বাসার বাহিরে বের হলে কখন আবার বাসায় ফিরবো এই আশা নিয়েই কিন্তু আমাদের মা-বাবা ভাই-বোনেরা অপেক্ষায় থাকে!”