জয়পুরহাটের কালাইয়ে বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব নবান্ন উপলক্ষ্যে মাছের মেলা। পঞ্জিকা অনুসারে প্রায় বিশ বছর ধরে চলছে মেলাটি। প্রতি বছরের মতো এবারও নবান্ন উপলক্ষ্যে বসা মেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ মাছ কিনতে আসেন। ব্যবসায়ীরা বোয়াল, গ্লাসকার্প, রুই, সিলভার কার্প, কাতলা, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দিয়ে পসরা সাজায়।
রোববার ভোর থেকেই কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা বাজারে মেলায় বিভিন্ন দোকানগুলোতে চলে মাছ বেচা-কেনার ধুম।
মাছের মেলাটিকে ঘিরে নিকটবর্তী উপজেলাসহ ২০-২৫টি গ্রাম-মহল্লার মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ দিন সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী পছন্দের মাছ কিনে বাড়ি ফিরে। এবার মেলায় ওঠা বড় মাছগুলোর ওজন ছিল প্রায় ১০ থেকে ১৩ কেজি। এই মেলা উদযাপন করতে আসেন জামাই-মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজনরা।
দূরদূরান্ত থেকে বিক্রেতারা এসেছেন মাছ বিক্রির জন্য। দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো মাছগুলো প্রায় সবই বড় আকারের। মেলায় ছোট মাছ নেই বললেই চলে। আছে বড় বড় রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প ও পাঙাশ মাছ। চাষের মাছের পাশাপাশি নদীর বাঘাইড়, গাঙচিতল এবং দু-এক ধরনের সামুদ্রিক মাছও উঠেছে এ মেলায়। সবাই দরদাম করে মাছ কিনছেন। আকারভেদে ৩০০ থেকে ১৮০০ টাকায় প্রতি কেজি মাছ বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার মাছের দাম অনেক বেশি। মাছের মেলায় প্রচুর লোক সমাগম হলেও বেচা-কেনা সে তুলনায় কম। তারপরও বেশি লাভেরই প্রত্যাশা করছেন তারা।
মেলার উদ্যেক্তা রহুল আমিন জানান, ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মেলাটি উপভোগ করা হয়। আগামীতে মেলার পরিধি আরও বাড়ানো হবে।
নবান্ন উৎসব উপলক্ষ্যে ১লা অগ্রাহায়ণ কালাই উপজেলা ৫শিরা বাজারে মাছের মেলা আয়োজন করে থাকে। এটা শুধু মাছ বিক্রি নয় আনন্দ উৎসবও বটে। যেখানে কেনা-বেচা ক্রয় করা ছাড়া অনেকে শুধু দেখতে আসেন। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছসহ চিড়িং বিক্রি করা হয়। কালাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে মেলাটি সার্বক্ষণিক পরির্দশন করা হচ্ছে। যাতে করে করে মেলার মাছে ফরমালিন ব্যবহার না করতে পারে বলে জানায়, কালাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তৌহিদা মোহতামিম।