বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি ‘বস্তুনিষ্ঠ ও ভয়হীন সাংবাদিকতা’র প্রতি সমর্থন জানান। যদিও তার দলের অবস্থান থেকে এটি কিছুটা ভিন্ন, তবুও পোস্টটি ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সাড়া ফেলেছে। প্রথম ১০ ঘণ্টায় পোস্টটি ছয় হাজার শেয়ার পায় এবং ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। তারেক রহমান বলেন, “সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে জনগণের সেবা করবে,” যা সংবাদমাধ্যমের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা।
এই পোস্টের অন্যতম আকর্ষণ ছিল একটি ব্যঙ্গচিত্র। এতে তারেক রহমান ও তার মা খালেদা জিয়াকে নিয়ে একটি কার্টুন তৈরি করা হয়। কার্টুনিস্ট মেহেদী হক এই চিত্রটি বানিয়েছেন। ছবিতে খালেদা জিয়া তার ছেলের মাথায় রাজমুকুট পরাচ্ছেন, আর সামনে কিছু উত্তোলিত হাত বিজয়োল্লাস করছে। এটি বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রহীনতার প্রতিফলন।
এখন, যখন তারেক রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে বয়ান দিয়ে সেই ব্যঙ্গচিত্র যুক্ত করেছেন, তখন বিষয়টি শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটি তারেক রহমানের একটি দৃঢ় বার্তা। কথার সঙ্গে কাজের মিল না থাকলে, তা অর্থহীন হয়ে যায়। তারেক রহমানের এই পোস্টে সেই মিল স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। তার এ উপলব্ধি ভবিষ্যতে তার নেতৃত্বের মধ্যে থাকবে বলেই আশা করা যায়।
তবে, বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক চেতনা এবং শাসনব্যবস্থার নৈতিকতার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি দলের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁওয়ে এক সমাবেশে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি নিজেদের সংশোধন না করা হয়, জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাদের অবস্থাও ফ্যাসিস্টদের মতো হয়ে যাবে।”
এটি নতুন কিছু নয়। মির্জা ফখরুল এবং তারেক রহমান বারবার এমন আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, আওয়ামী লীগের পতনের পর দলের কর্মীদের একাংশ এই বার্তা শোনে না। তারা চাঁদাবাজি ও আধিপত্যের সংস্কৃতি কায়েম করেছে। এ কারণে, তারেক রহমানের উদারতা কিংবা মির্জা ফখরুলের প্রজ্ঞা দলের তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে না। সাধারণ জনগণও বারবার প্রতারিত হয়েছে। তাদের কাছে এসব কথা নতুন নয়।