কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও ময়মনসিংহের পাগলা থানার মাঝামাঝি ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির একদিন পর আজ (বুধবার, ২ জুলাই) সকালে নিখোঁজ থাকা দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনেরাই নদীতে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মরদেহ দুটি খুঁজে পান।
সকাল ৭টার দিকে ময়মনসিংহের পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহত দুই শিশু হলো কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকার হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৬) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা দুজনই স্থানীয় বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নয়জন শিক্ষার্থী একটি ছোট নৌকায় করে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় দত্তেরবাজারসংলগ্ন এলাকায় এসে নৌকাটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় ছয়জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হয়ে যায় তিন শিক্ষার্থী।
এরই মধ্যে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫ বছর বয়সী শাপলা আক্তারের মরদেহ। তিনি একই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন।
আজ সকালে আবির ও জুবায়েরের মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন স্বজনরা। তারা জানান, ভোর থেকেই স্বজনরা নৌকা নিয়ে নদীতে অনুসন্ধানে নামে। বাঁশিয়া এলাকায় ভেসে থাকা মরদেহ দুটির সন্ধান পাওয়ার পর সেগুলো উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের জায়গাটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ছিল।
পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “নিখোঁজ শিশুদুটির মরদেহ স্বজনরাই নদী থেকে উদ্ধার করেছেন। পুরো এলাকা শোকাচ্ছন্ন।”
এই দুর্ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা শোকাহত পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।