বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে ২০১৮ সালে দেওয়া আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদনের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ভিত্তিতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য চাকরির শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এরপর ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ সেই গেজেট গ্রহণ করেন। ওই গেজেটে অধস্তন আদালতের বিচারকদের ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে আইন মন্ত্রণালয়কে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি বদলি, ছুটি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের ওপর যৌথভাবে ন্যস্ত করা হয়। ২০২৪ সালের মে মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আইনজীবী শিশির মনিরসহ আটজন আইনজীবী আপিল বিভাগের ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন।
শুনানি শেষে সাংবাদিকদের শিশির মনির বলেন, “২০১৮ সালের আদেশটি বিচার বিভাগকে ‘অ্যাসল্ট’ করে দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন সরকার প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এই শৃঙ্খলাবিধি গ্রহণ করিয়েছিল। এটি বিচার বিভাগের ইতিহাসে নজিরবিহীন একটি ঘটনা।”
তিনি আরও বলেন, “আজ আপিল বিভাগ আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন। লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) দিয়েছেন এবং ২০১৮ সালের আদেশ স্থগিত করেছেন। এখন হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে চলমান শুনানিতে আর কোনো আইনি বাধা রইল না।” তবে তিনি পরিষ্কার করেছেন, আপাতত অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি কার্যকরই থাকবে