সম্প্রতি আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা ‘নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট’ অনুযায়ী জাতীয় দৈনিকের মাধ্যমে আলোচিত লিগ্যাল নোটিশটি জারি করেছে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অভিযোগে বলা হয়েছে, সাকিব আল হাসান মালিকানাধীন ‘সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম লিমিটেড’-এর বিরুদ্ধে ব্যাংকটির ৪ দশমিক ১৪ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার প্রমাণ মিলেছে।
লিগ্যাল নোটিশে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাকিবের প্রতিষ্ঠানটি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এই পাওনা পরিশোধ করতে বাধ্য, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লোন শোধে নির্ধারিত সময়সীমা নির্ধারণ করে ব্যাংকটি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
আইএফআইসি ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান হিসেবে সাকিব নিজেই আছেন। ২০১৭ সালে ব্যাংক থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল এবং টার্ম লোন বাবদ যথাক্রমে এক কোটি এবং ১ দশমিক ৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয় এই প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাংকটির অভিযোগ, প্রাথমিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সেটিকে মেয়াদি ঋণে রূপান্তর করা হয়, এরপরও ঋণ আদায়ে বারংবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও টাকা ফেরত আসেনি।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংককে দুটি চেক প্রদান করে। কিন্তু ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর দেখা যায়, অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় চেকগুলো বাউন্স করেছে। আইনি প্রক্রিয়ায় ত্রুটিপূর্ণ এই চেক প্রদানকে কেন্দ্র করেই এবার আইএফআইসি ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দাতিনাখালি এলাকায় সাকিব প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম’। সড়কের পাশে গড়ে ওঠা এই কাঁকড়া খামারটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আশপাশের জনমনে আকর্ষণ তৈরি করেছিল। তবে ২০২১ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
সাকিবের এই প্রতিষ্ঠানের ঋণ এবং অনাদায়ী পাওনার সুদ মিলে এখন ব্যাংকের কাছে মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১৪ কোটি টাকা, যা শোধে ব্যর্থ হলে আইনী ব্যবস্থা থেকে তার মুক্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।