রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি ইসকন এনজিওর কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসকনের হিসাবের কোনো অডিট হয়নি এবং তাদের আয়-ব্যয়ের উৎস সম্পর্কে সাধারণ জনগণ অজ্ঞাত। এই পরিস্থিতি ইসকনের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার প্রতি প্রশ্ন তুলেছে।
শরীফ ওসমান বিন হাদি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ইসকন নিজেদের এনজিও দাবি করলেও তাদের কার্যক্রম রাজনৈতিক। কোনো এনজিও ঢাকা অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিতে পারে না। এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক তৎপরতারই প্রতিফলন।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এনজিওগুলো কখনোই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে না। ঢাকা ঘেরাও করার মতো কর্মকাণ্ড কিংবা জনগণের বিরুদ্ধে সভা করার অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর। তাই ইসকনের প্রকৃত পরিচয়— এটি কি রাজনৈতিক নাকি ধর্মীয় সংগঠন— তা পরিষ্কার করতে হবে।”
শরীফ আরও উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগের শাসনামলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, তখন ইসকন সামান্য বিবৃতিও দেয়নি। এখন তারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বড় সমাবেশ আয়োজন করে বিভিন্ন দাবি তুলছে। এর মাধ্যমে তারা মূলত ‘মাইনোরিটি সাপ্রেশন’ হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে আমেরিকাকে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে আনতে চাচ্ছে।”
এসময় তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, “অতি দ্রুত একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে ইসকনের আয়ের উৎস প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায়, আমরা আইনগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো এবং রাজপথে কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।”
এ সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা এ ঘটনায় গভীর মনোযোগ দিয়েছেন। ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে এ ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।