সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে গত অক্টোবর মাসে ২২৫ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বিজিবি আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
অক্টোবরের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে আছে দুটি পিস্তল, একটি রাইফেল, তিনটি গানজাতীয় অস্ত্র, একটি রিভলভার, তিনটি গ্রেনেড, একটি রকেট বোমা, দুটি ম্যাগাজিন এবং ২৭০ রাউন্ড গুলি। বিজিবি জানায়, এই অস্ত্রগুলো সীমান্ত অঞ্চলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারত।
অভিযানে জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজারের বেশি ইয়াবা বড়ি, ৩ কেজি ১৯৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ১১ কেজি ৮০২ গ্রাম হেরোইন, ২৬ হাজার ৫৯৯ বোতল ফেনসিডিল, ২১ হাজার ৬০৫ বোতল বিদেশি মদ, ১ হাজার ৪১২ কেজি গাঁজা এবং ১৯ কেজি ৩৩৩ গ্রাম কোকেন। এসব মাদকদ্রব্য দেশজুড়ে বড় ধরনের মাদক সংকট ও নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচিত হতে পারত বলে বিজিবির কর্মকর্তারা মনে করেন।
এ ছাড়া, বিজিবি জানায় যে, সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩৪৫ জন বাংলাদেশি ও ২৮ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আটককৃত ১ হাজার ২৯৮ জন মিয়ানমার নাগরিককে প্রাসঙ্গিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে চোরাচালান, মাদক পাচার ও অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে নিয়মিত এ ধরনের অভিযান চলবে।