দেশের চাল সিন্ডিকেটের অন্যতম মূলহোতা হিসেবে পরিচিত আব্দুর রশিদ ওরফে চাল রশিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অর্থ আত্মসাত, ঋণখেলাপি এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের গুরুতর অভিযোগ।
আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে রাজশাহীর ইনাম ফিড মিলের মালিক আতিকুর রহমান একটি মামলায় অভিযোগ করেছেন। মামলার দাবি, তিনি রশিদের ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৭ টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন মৎস্য খাদ্যের কাঁচামাল সরবরাহের জন্য। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও রশিদ কাঁচামাল সরবরাহ করেননি বা টাকা ফেরত দেননি। এই ঘটনায় আদালত গত ১৭ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মোট ৬৮টি ঋণখেলাপি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে তাকে আটক করা সম্ভব হলো।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকার একটি গলি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ এই গ্রেফতারি অভিযান চালায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি শিহাবুর রহমান শিহাব।
গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা আব্দুর রশিদ মজমপুর এলাকার একটি গলিতে লুকিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।
আব্দুর রশিদ দেশের অন্যতম শীর্ষ চাল ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি। অভিযোগ রয়েছে, তার ইশারায় চালের দাম ওঠানামা করত, যা দেশের চাল বাজারে সিন্ডিকেট গঠনে ভূমিকা রেখেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনায় বাজারে চাল সিন্ডিকেট এবং ঋণখেলাপি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই গ্রেফতারের মাধ্যমে দেশের চাল বাজারের নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।