বাংলাদেশে এক অভিনব প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে একটি প্রতারক চক্র সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আলদুহাইনের কাছ থেকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার আদায়ের চেষ্টা করেছে।
এই চক্রটি সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছিল। এতে, মডেল মেঘনা আলমের সহযোগী কাওয়াই প্রতিষ্ঠানের সিইও মো. দেওয়ান সমিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, রিমান্ডে দেওয়ান সমির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে এবং ফাঁদে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য পাওয়ার আশাবাদ রয়েছে পুলিশের। এই ঘটনার পর, মানবাধিকার সংগঠনগুলো মেঘনা আলমের পক্ষে বিবৃতি দিতে শুরু করেছে, যা কিছু মানুষের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। অনেকের মতে, এটি একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র হতে পারে যা বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।
এই ঘটনার সাথে কিছু প্রতারকচক্রের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন এবং তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, ঘটনার বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবাসী ও নেটিজেনরা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং প্রবাসী শ্রমিকদের ভবিষ্যতকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
এই ঘটনার ফলে বাংলাদেশের সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা দেশের অর্থনীতি ও বিদেশী পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।