সামগ্রিকভাবে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর লক্ষ্যে সরকার সয়াবিন এবং পাম তেলে কর ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তথ্য জানায়। সরকারের এই পদক্ষেপ স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি—উভয় ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে, যা বাজারে তেলের মূল্য কমাতে সহায়ক হবে।
নতুন সিদ্ধান্তের আওতায় পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন এবং ব্যবসায়ীদের পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, পরিশোধিত এবং অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম তেলের আমদানির জন্য ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত কিছু মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানায়। তারা উল্লেখ করে, বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পাম তেলের দাম ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।
সচিবালয়ে গত মঙ্গলবার অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় ভোজ্যতেল পরিশোধন সমিতির প্রতিনিধিরা জানান, সরকার যদি আমদানির বিদ্যমান শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনে তবে তারা স্থানীয় পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি করবে না। তাদের দাবি অনুযায়ী, সরকারের এই নতুন কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
সম্প্রতি দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকায় সরকার ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যের আমদানিতে কর ছাড়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে পরিশোধিত চিনির আমদানিতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এর আগে ৯ অক্টোবর এনবিআর অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির আমদানির নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে।
এছাড়া, সাধারণ মানুষের কাছে ডিমের দামকে নাগালের মধ্যে রাখতে সরকার ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে এবং ডিমের আমদানির শুল্কও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এইসব পদক্ষেপে সরকার ভোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যগুলোর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে এমনটাই প্রত্যাশা।